ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: জোকা-তারাতলা মেট্রো (Joka-Taratala Metro) প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, মঞ্চ থেকে শোভন চট্টোপাধ্য়ায়কে (Sovon Chatterjee) ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফিরহাদ হাকিমেরও আগে নিলেন শোভনের নাম। যা শুনে আপ্লুত কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। আর এসব দেখে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি শীঘ্রই ঘাসফুল শিবিরে ফিরবেন শোভন?
শোভনকে ধন্যবাদ মমতার: প্রথমে নবান্নে গিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ। তারপর ভাইফোঁটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে ফোঁটা নেওয়া। আর এবার একেবারে মঞ্চ থেকে দলনেত্রীর ধন্যবাদ। তাহলে শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের তৃণমূলে ফেরা কি সময়ের অপেক্ষা? আবার কি কাননে ফুটবে ঘাসফুল? আরও জোরাল হল সেই জল্পনা। শুক্রবার জোকা-তারাতলা মেট্রোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য় রাখতে গিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠে আসে প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম। তাও আবার তৃণমূলনেত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ফিরহাদ হাকিমেরও আগে।
ঠিক কী বলেন মুখ্যমন্ত্রী?
“আমি আজকে অবশ্যই জানাব, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে, কারণ, জোকা ও তারাতলা স্টেশনের জন্য জমির বন্দোবস্ত করেছিলেন তিনি এবং নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।’’
কী প্রতিক্রিয়া কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের?
তৃণমূলনেত্রী তাঁকে কৃতিত্ব দেওয়ায় কার্যত আপ্লুত শোভনও। কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, “এত ব্যস্ততার মধ্যে মমতাদি যে আমার জড়িত থাকার বিষয়টি জানিয়ে, তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেছেন, তাতে আমি আনন্দিত, আপ্লুত। বছরের শেষ দিনে এবং নতুন বছরের প্রাক্কালে, এটাই আমার বড় পাওনা।’’
২০১৯ সালে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে, বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। গতবছর বিধানসভা ভোটের বিজেপির প্রচারেও দেখা গেছিল তাঁদের। কিন্তু, তারপর থেকে বিজেপির সঙ্গে শোভন-বৈশাখীর দূরত্ব বাড়তে থাকে। বিজেপি ছাড়ার কথাও ঘোষণা করেন তাঁরা। এরপর জুন মাসে নবান্নে গিয়ে প্রায় একঘণ্টা মমতা সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শোভন-বৈশাখী। ভাইফোঁটার দিনও দলনেত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে গেছিলেন তাঁরা। এবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় যেভাবে সরকারি মঞ্চ থেকে শোভনকে ধন্য়বাদ জানালেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে, আগামীদিনে কি তিনি শোভনকে দলে ফিরিয়ে নেবেন? সেটা কি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা?
আরও পড়ুন: Babita Sarkar: নিয়োগ-দুর্নীতির মধ্যেই এবার ববিতা সরকারের নম্বর-বিতর্ক