কলকাতা: জয় না আসা পর্যন্ত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। ফেসবুকে কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,  'নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছি। সেখানে এমন কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছি, যেখানে আমার দ্রুত নজর দেওয়া প্রয়োজন।'


'ভাল থাকা'


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লিখেছেন, 'বাংলার মানুষ আমার সম্পদ। আমি সবসময় তাঁদের ভাল থাকাকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। তাঁদের জন্য কাজ করেছি। ভবিষ্যতে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে চাই। কোনও মানুষ যাতে তার জীবনযাপনের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখব। কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতায় এ রাজ্যের মানুষ সীমাহীন কষ্ট ভোগ করছেন। কেন্দ্রের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি নিরপরাধ মানুষকে দুর্দশার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সবাইকে আশ্বস্ত করছি, জয়ী না হওয়া পর্যন্ত এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে', ফেসবুকে লেখেন মুখ্যমন্ত্রী।


নিয়োগ দুর্নীতি


প্রসঙ্গত, সদ্য অনেকগুলি ইস্যুই বড় প্রশ্ন তুলেছে। একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি এবং অপরদিকে কর্ণাটকের ভোট। নিয়োগ দুর্নীতিতে একদিকে যেমন একের পর এক অযোগ্যদের চাকরি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, কর্ণাটকের কংগ্রেসের জয় এবং বিজেপির বর্তমান পরিস্থিতি ঘিরে চলছে বিতর্কিত কথোপকথন। তবে প্রথম ইস্যুতে হাইকোর্টের নির্দেশের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। 


 চাকরিহারাদের পাশে থেকে লড়াইয়ের বার্তা


মূলত ২০১৬-তে নিয়োগের সময় যাঁরা অপ্রশিক্ষিত ছিলেন, তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। সেই রায় নিয়েই চাকরিহারাদের পাশে থেকে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, 'যতদূর লড়াই করতে হয়, রাজ্য সরকার সেটা করবে।'


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


'কর্ণাটক'


তবে বছর পড়লেই লোকসভা ভোট। আর সেই ভোটের আগেই শাসক দল তথা বিরোধী দল এই ইস্যুগুলিকেই ঢাল বানিয়ে ময়দানে নেমেছে। তবে তার মাঝে বড় ধামাকা কর্ণাটক ভোটের ফলাফল। কংগ্রেসের ঐতিহাসিক জয়ে একদিকে যেমন শাসকদলের তোপের মুখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। অপরদিকে ঠিক এই ইস্যুতেই তেমন রাজ্য কংগ্রেসের নিশানায় আবার তৃণমূল। তবে সববিতর্কের মাঝেই সেই 'ভালথাকাটাই' বড় প্রশ্ন। যার উত্তর দিয়ে চলেছে বিধানসভা ভোটগুলি। বাকিটা সময়ের অপেক্ষা। উত্তর দেবে ২০২৪। এমনটাই চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে।