কলকাতা: “বিধায়করা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না। ঝগড়া করলে তৃণমূলে জায়গা নেই।’’ হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee)। এদিন কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে তিনি বলেন, “যার ইগো থাকবে বাড়িতে বসে যান, কাজ করার দরকার নেই। কলকাতার সঙ্গে কার যোগাযোগ, দেখার দরকার নেই। ফিল্ডে যে কাজ করে আমরা খুঁজে নেব। কোনও গ্রুপ নয়, তৃণমূল একটা পরিবার। নতুনদের সঙ্গে পুরোনোদের মিলেমিশে কাজ করতে হবে। যে ঝগড়া করবে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখব না। তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস কিছু করতে পারবে না। যে ভোটে টিকিট পাবে, তাঁর হয়ে লড়াই করতে হবে।’’


ঝগড়া না করার বার্তা মমতার: ৩দিনের সফরে নদিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী। কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে জনসভা থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। নদীয়া জেলায় সংগঠন ভাল করে করতে হবে।আমাদের যাঁরা বিধায়করা আছেন আশা করি নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি করবেন না। যে যে ঝগড়াঝাঁটি করবেন, তাঁকে আমি পার্টিতে স্থান দেব না। আমি না মানুষ বড়? মানুষ  না থাকলে আমি শূন্য। দলীয় প্রতীক না থাকলে আমি কেউ না। যাঁর ইগো থাকবে বাড়িতে বসে যান। কাজ করার দরকার। যার স্বতস্ফূর্ততা আছে, তাঁরা এগিয়ে আসুন, হাল ধরুন। যে কাজ করে তাঁকে ফিল্ড থেকে খুঁজে নেব।''


নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিজেপি-কে আক্রমণ মমতার: গুজরাতের নাগরিকত্ব (Gujarat Citizenship Row) প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বাংলার রাজনীতিতেও। তা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। নির্বাচন এলেই বিজেপি-র (BJP) মাথায় জাতীয় নাগরিক পঞ্জি চাপে বলে মন্তব্য করলেন তিনি (TMC)। মমতার কথায়, "বিজেপি কী এমন করল, যে মিথ্য়া কথা বলে লোকসভার সিট নিল! বিধানসভার সিট নিল! কাজ কিছু করেছে! একটাও করেছে! নির্বাচন এলেই তখন মনে পড়ে ক্যাঁ ক্যাঁ ক্যাঁ। মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। নির্বাচন এলেই মাথায় ঢোকে এনআরসি। নির্বাচন এলেই মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করে।  রাজবংশীদের নিয়ে বাংলা ভাগ করার চেষ্টা করে। পাহাড়িদের নিয়ে বাংলা ভাগের চেষ্টা করে, তারা কিন্তু চায় না। সবাই এক নয়। "


মমতা আরও বলেন, "আমি পরিষ্কার বলছি আপনাদের। নদিয়ায় রানাঘাটের সাংসদ কিছু করেছেন আপনাদের জন্য! তাহলে ভোট দিলেন কেন? বিধায়করা কিছু করেছেন! তাহলে ভোটটা দিলেন কেন? নদিয়ার মানুষ ভাল, শান্তিপূর্ণ মানুষ। নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর, শান্তিপুরের ধর্মপ্রাণ, উদ্বাস্তু মানুষরা শান্তিপ্রিয়। তাঁদের বিভ্রান্ত করছে। এখন গুজরাতে নির্বাচন। বলছে বাংলাতেও ক্যা করবে। ক্যা মানে কী! নাগরিকত্ব। মতুয়া ভাইবোনেরা বুকে হাত দিয়ে বলুন, চাকরি করেন! দোকান আছে! ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান, স্বাস্থ্যসাথী পান! সবই যদি থাকে, তার মানে আপনার অধিকার! সম্পত্তি, শিক্ষার অধিকার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মা-বোনেদের অধিকার। সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবার অধিকার দিয়েছে। নাগরিক না হলে কী করে পেতেন!"


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: শীত পড়লে ডেঙ্গি কমে যাবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়