আশাবুল হোসেন, অনির্বাণ বিশ্বাস, বোলপুর : ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থার অভিযোগ, বোলপুরে পদযাত্রা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যজুড়ে ভাষা আন্দোলন করছে তৃণমূল। আজ বোলপুরের ট্যুরিস্ট লজ মোড়-জামবনি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার পথ হাঁটবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সেই পদযাত্রা শুরু হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি হাতে নিয়ে পদযাত্রায় শামিল হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। পদযাত্রায় শামিল হয়েছেন ফিরহাদ হাকিমও।
ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের প্রতি যে অত্যাচার চলছে তার প্রতিবাদে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল ছিল নানুর দিবস। গতকালই বীরভূমে গিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। আজ বোলপুর থেকে একটি প্রশাসনিক বৈঠকও করেন তিনি। এরপর যোগ দেন পদযাত্রায়। বাঙালি অস্মিতাকে রক্ষার জন্য তৃণমূলের প্রচার এখন তুঙ্গে। একুশের জুলাইয়ের সভা থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছিলেন যে রাজ্যপজুড়ে ভাষা আন্দোলন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন কর্মসূচি ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা করা হয়ে গিয়েছে। তারই একটি বোলপুরের পদযাত্রা। বিভিন্ন জেলাতে প্রতিবাদ মিছিল জারি রেখেছেন তৃণমূল নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ পর্যন্ত এইসব কর্মসূচি চলবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তাহের শেষে শনিবার এবং রবিবার, এবার থেকে এই ২ দিন প্রায় প্রতি সপ্তাহেই রাজ্যজুড়ে থাকবে তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচি।
গতকাল শনিবার থেকেই নেত্রীর ডাকে রাস্তায় নেমেছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। ২ অগস্ট থেকে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রতি সপ্তাহের শনিবার ও রবিবার তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে। একুশে জুলাইয়ের আগেও কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিলে হেঁটেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আজ ভাষা আন্দোলনের প্রথম দিনেই বোলপুর থেকে পদযাত্রায় হাঁটছেন তিনি। রাস্তার দু'পাশে ব্যারিকেডে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার জন্য জড়ো হয়েছেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। নেত্রীকে দেখে নমস্কার করছেন সকলে। প্রতি নমস্কার জানাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং বীরভূমের অনেক বিধায়ক এই মিছিলে যোগ দিয়েছেন।
ভিনরাজ্যে বাংলাভাষী শ্রমিকদের উপর চরম হেনস্থা, অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে। কোথাও তাঁদের দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করানোর অভিযোগ। কোথাও বা ঠিকভাবে খেতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও নানা ধরনের অভব্য, অশালীন, আপত্তিকর আচরণ করার অভিযোগও উঠেছে। এইসবের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাঙালির অস্মিতা রক্ষার এই কৌশল বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।