কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, দীপক ঘোষ , কলকাতা : জল্পনামতই ভবানীপুর বিধানসভা থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? নাকি অন্য কোথাও থেকে ? গত নির্বাচনে কিন্তু নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে বড় মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। এদিকে বাকি ২৯৩টি কেন্দ্রের প্রার্থী নির্বাচন নিয়েও বার্তা দিলেন সুব্রত বক্সী। ভবানীপুরের বিজয়া সম্মিলনীতে অডিও বার্তায় এলাকায় বহিরাগত প্রসঙ্গে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পাল্টা দিয়েছে বিজেপি।

Continues below advertisement

মঙ্গলবার বিজয়া সম্মিলনী থেকে কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ঘোষণাই করে দিলেন খোদ তৃণমূলের রাজ্য় সভাপতি সুব্রত বক্সী। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে হেরে যান তিনি। পরে উপনির্বাচনে ভবানীপুর থেকে জিতে আসেন। সেই নিয়ে এখনও কটাক্ষ শানান শুভেন্দু অধিকারী। 

এবার সামনে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যখন নানা জল্পনা চলছে, তখন মঙ্গলবার এই মন্তব্য় করলেন সুব্রত বক্সী। একধাপ এগিয়ে জয়ের মার্জিন নিয়ে কার্যত টার্গেট বেঁধে দিলেন ফিরহাদ হাকিম।  

Continues below advertisement

বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে সুব্রত বক্সী মন্তব্য করেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হতে চলেছেন। প্রচুর ভোটে তাঁকে জেতাতে হবে।' ফিরহাদ হাকিমও বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১ লক্ষ ভোটে জয়ী করব'। যদিও, এনিয়ে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।  বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার খোঁচা, 'ওরা মমতার জয় নিয়ে সন্দিহান। প্রথমেই ভবানীপুর নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।' 

'ভবানীপুরে বাইরে থেকে লোক এনে এনে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি যারা ভবানীপুরের বাসিন্দা তাদেরকে বলছি না। কিন্তু পরিকল্পনা করে বাইরে থেকে লোক এনে এখানে বাড়ি কিনে দেওয়া হচ্ছে। ফ্ল্যাট কিনছে। পরিবেশটাকে খারাপ করার জন্য। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।' অডিও বার্তায় নাম-না-করে বিজেপিকেই খোঁচা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা বিজেপির রাহুল সিনহার মন্তব্য,' মমতা বাংলাদেশীদের এনে রাজ্যের demography পাল্টে দিয়েছেন। তিনি ভবানীপুর নিয়ে কথা বলছেন?' 

নির্বাচনের আগে প্রার্থী অসন্তোষ বিষয়টি খুবই সাধারণ। প্রায় প্রতি দলেই বিভিন্ন আসন নিয়ে ভিন্ন মত থাকে ভিন্ন কর্মীদের। এদিনের মঞ্চ থেকে  প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে আরও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন সুব্রত বক্সী। বলেন, ' যাঁর হাতে সিম্বল বা প্রতীক থাকবে, তিনি প্রার্থী। কোনওরকম বিরোধ যেন না হয়। যিনি প্রার্থী হবেন, তাঁকে মেনে নিতে হবে বাকিদের। কোনও বিরোধ নয়।'  এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিধানসভা ভোটে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে অশান্তির আভাস পাচ্ছে তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব?