ময়ূখঠাকুর চক্রবর্তী, রাজা চট্টোপাধ্য়ায়, দীপক ঘোষ, কলকাতা: বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের নির্দেশ, দুই বিজেপি নেতার উপর আক্রমণের ঘটনায় কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে পুলিশকে। আগামী ২৭ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
দুর্যোগ বিধ্বস্ত নাগরাকাটায় গিয়ে এভাবেই আক্রান্ত হয়েছিলেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু!বিজেপির সাংসদ-বিধায়কের উপর হামলার ঘটনায় জল গড়িয়েছে হাইকোর্টে!CBI ও NIA তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে ২টি মামলা। মঙ্গলবার দুটি মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট!এদিন, হাইকোর্টে মামলাকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার দাবি করেন, বিধায়ক, সাংসদদের ওপর হামলার পরেও খুনের চেষ্টা ধারা রুজু হয়নি। রাজ্য সরকারের তরফে অ্য়াডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, তদন্তে যদি রাজ্য সরকার মনে করে NIA-কে নিযুক্ত করতে হবে, তাহলে সেটা আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানানো হবে।শুনানি শেষে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলবের পাশাপাশি পুলিশকে কেস ডায়েরি জমার নির্দেশ দেন বিচারপতি। ২৭ অক্টোবর সেই রিপোর্ট জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে জমা দিতে নির্দেশ দেন তিনি। নাগরাকাটায় বিজেপির সাংসদ-বিধায়কের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও, FIR যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্য়ে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ধস বিধ্বস্ত নাগরাকাটা পরিদর্শনে গিয়ে মারধরের মুখে পড়েছিলেন বিজেপির সাংসদ ও বিধায়ক। গুন্ডামির শিকার হন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। মাথা ফেটে গিয়েছিল বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সিপিএম এবং কংগ্রেস। মহম্মদ সেলিম বলেছিলেন, 'এমন অবস্থা হয়েছে, যে সরকারি তন্ত্র এবং দলতন্ত্রের মধ্য়ে কোনও তফাৎ নেই। তৃতীয়ত বিরোধী রাজনীতিক কেউ হলেই, যাতে কোনও পরিসর সে না পায়। এটা একটা স্বৈরাতান্ত্রিক প্রবণতা।....রাজনৈতিকভাবে খগেন মুর্মু বা শঙ্কর ঘোষ একসময় বামপন্থী ছিলেন। তার মধ্যে কিছু রয়ে গেছে, বীজের মধ্যে। যেমন আক্রান্ত হলে, দুর্যোগ হলে, যেমন আমাদের লোক নেমেছে, সেরকম নামতে হবে। 'অধীর চৌধুরী বলেন, 'যেমন বন্যা হলে, বিপদে যারা পড়ে, তাঁদের কোনও, জাত-ধর্ম-বর্ণ-পার্টি থাকে না। তেমনই সাহায্য করার সময়ও, জাত-ধর্ম-বর্ণ-পার্টির বিভাজন না করাটাই উচিত বলে মনে করি। '