কলকাতা : দু'টো চোখ দিয়েই আমরা গোটা বিশ্বকে দেখি। তাতেই যদি কোনও সমস্যা সৃষ্টি হয়, তাহলে চিন্তা হয় বৈকি ! তাই মানবদেহের এই মূল্যবান অঙ্গ নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ২০২১ সালে চালু করা হয়েছিল 'চোখের আলো' (Chokher Alo) প্রকল্প।  সেই প্রকল্পে অভাবনীয় সাফল্য পাওয়া গেছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) তিনি একথা জানিয়েছেন।


ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মানুষের দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ২০২১ সালে চোখের আলো প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। আমি এটা জানাতে পেরে আনন্দ বোধ করছি যে, এর মধ্যে এই প্রকল্পে ১০ লক্ষ মানুষের ছানি অপারেশন করা হয়েছে। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ও প্রাপ্তবয়স্কদের(৪৫ ঊর্ধ্ব) মধ্যে বিনামূল্যে ১৫ লক্ষ চশমা বিতরণ করা হয়েছে। ' 



সবার জন্য চক্ষু চিকিৎসা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করতে ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি ‘চোখের আলো’ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এর উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, এই প্রকল্পের আওতায়  দরিদ্রদের জন্য দেওয়া হবে বিনামূল্যে চশমা। ৮ লক্ষ ২৫ হাজার চশমা বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।


শুধু বয়স্করাই নন, এই প্রকল্পের আওতায় সবার জন্যই চোখের চিকিৎসার সুবিধার কথা বলা হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদেরও বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হবে। রাজ্যের প্রায় ৪ লক্ষ পড়ুয়ার চক্ষু পরীক্ষা করা হবে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেও  শিশুদের  চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্থা হবে। ২০২৫-এর মধ্যে সকলের চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্থা।’ 


তিনি আরও জানিয়েছিলেন, এই প্রকল্পের আওতায় থাকছে  সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ছানি অপারেশনও। প্রথম পর্যায়ে রাজ্যে ১২০০ গ্রাম পঞ্চায়েত ও শহরের ১২০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই প্রকল্পটি চালু হবে। পরে ধাপে ধাপে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত ও শহরকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। ‌২০২৫–এর মধ্যে সকলের চোখের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াই সরকারের লক্ষ্য।


সেইমতই এবার রাজ্যজুড়ে চোখের আলো প্রকল্পে অভাবনীয় সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন ; ফের রাজ্যের ‘চোখের আলো’ প্রকল্প নিয়ে তুঙ্গে তরজা