কোচবিহার : 'আমি না খেতে পেয়ে মরে যাব...তবুও আমি বলে দিচ্ছি, যে আমি ওর মধ্য়ে যাব না।' কেন্দ্রীয় সরকার, বিজেপিকে যুগপৎ আক্রমণ করছিলেন তিনি ধারাল বাক্যে। মাথাভাঙায়, নির্বাচনী সভায়  তৃণমূলনেত্রীর ( Mamata Banerjee )  বক্তব্য় জুড়ে ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে অল-আউট অ্যাটাক। কিন্তু এমন একটি শব্দ  দিয়ে বাক্য শুরু করে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী, যা বিরোধীরা পাল্টা আক্রমণের হাতিয়ার করে নেয়। যদিও, ওই শব্দপ্রয়োগের পরপরই তা প্রত্য়াহার করে নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু এ নিয়ে তরজা বন্ধ হয়নি।  


বৃহস্পতিবার রাসমেলার ময়দানে সভা মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ( Narendra Modi ) অন্য়তম হাতিয়ার ছিল তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি। অন্য়দিকে, প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে মাথাভাঙার নির্বাচনী সভা থেকে পাল্টা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হন তৃণমূলনেত্রী। 


বৃহস্পতিবার, কোচবিহারের মাথাভাঙায়, তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বাসুনিয়ার সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য় রাখছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। আক্রমণ শানাচ্ছিলেন বিজেপিকে। তখনই আচমকা এক শব্দ প্রয়োগ! যা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই ভিডিও পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। 


তৃণমূল নেত্রী  কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, ' বলছে রেশন দোকানে রেশন যাবে, তাতেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি, আর বিজেপির লোগো থাকবে। ... ...আমি না খেতে পেয়ে মরে যাব...'  এরই মধ্যে চলে আসে ওই শব্দ যা দিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি। যদিও এই শব্দ প্রয়োগের পরই দর্শকদের সামনে দুঃখপ্রকাশ করনে তৃণমূলনেত্রী। 'দুঃখিত, আমি শব্দটি প্রত্য়াহার করে নিচ্ছি। আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। রাগের চোটে। রাগ শান্ত করা উচিত। আমি ভদ্র ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করি। এটা আমাদের কমন ভাষা। কিন্তু আমি প্রত্য়াহার করে নিচ্ছি।' 


এরপরই এই শব্দপ্রয়োগ নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শানান বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, একবার মুখ থেকে যা বেরিয়ে যায়, তা কি আর ফেরানো যায়? তবে লোকসভা ভোটের আবহে কুকথার তোড়, হুঁশিয়ারিতে তো কোনও বিরাম নেই। তা দলের নাম, চিহ্ন বা পতাকা যাই হোক না কেন।  বৃহস্পতিবারই বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ কার্যত দাদাগিরির কায়দায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আমি এখনও শুরু করিনি। ওরা ঠুকঠাক করছে, যেদিন একটা ঘা মারব না, কামারের ঘা দেখেনি। সিধা হয়ে যাবে সব। যদি ওরা হিংসার মাধ্য়মে রাজনীতি করতে চায়, ভারতীয় জনতা পার্টি পুরো প্রস্তুত আছে। দিলীপ ঘোষের অভিজ্ঞতা আছে, জানা আছে কাকে কীভাবে শায়েস্তা করতে হবে।'