কলকাতা: বেকারত্বের ভুগছেন অনেকেই।  এবার তার সঙ্গেই হার্টের রোগের যোগসূত্র খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা। রাতে ঘুম না আসা, কম ঘুমোনো, বেকারত্ব ও হার্টের রোগের (Unemployment and Heart Risk) মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে বলে জানাল একটি গবেষণা। সম্প্রতি এই গবেষণাটি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, সামাজিক অবস্থা নানাভাবে প্রভাব ফেলছে শরীরের উপর। হার্টের গুরুতর রোগ ঘটাচ্ছে।


তরুণদের মধ্যে হার্টের রোগের বড় কারণ


গবেষকদের কথায়, হার্টের রোগের পিছনে একাধিক কারণ থাকে। তবে বেকারত্ব, শিক্ষার অভাবের ফলে অনিশ্চিত জীবন মানুষকে আরও চিন্তিত করে তুলছে। যার জেরে রাতে কম ঘুম ও হার্টের রোগের সমস্যা  দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে গবেষকরা।


কাদের নিয়ে এই গবেষণা ?


এশিয়ান আমেরিকানদের নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। ওই তালিকায় এশিয়ান ইন্ডিয়ান প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরাও ছিলেন। তবে এক একেকটা সাবগ্রুপ অনুযায়ী হার্টের রোগের ঝুঁকি একেকরকম বলে‌ জানাচ্ছেন গবেষকরা। অর্থাৎ সব জাতিগুলির মধ্যে রোগের ঝুঁকি সমান নয়। মোট ৬৩৯৫ জনকে নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। তাদের মধ্যে ২২ শতাংশ ছিলেন এশিয়ান প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। 


বেকারত্ব মানেই কি তবে হার্টের রোগ ?


বেকারত্ব মানেই কি তাহলে হার্টের রোগ ? এই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের কথায় বেকারত্ব এবং হার্টের রোগের মধ্যে একটি যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ বেকারত্ব বাড়লে হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়তে দেখা দিয়েছে। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে বেকারত্ব বাড়ছে বলেই হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বরং দুটির মধ্যে কোন কার্যকারণ সম্পর্ক নাও থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। 


ঘুম কম, শারীরিক সক্রিয়তাও কম


ঘুম কম হওয়া এবং শারীরিক সক্রিয়তা কমে যাওয়া হার্টের রোগের একটি বড় কারণ (Less Sleep Heart Risk) । এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা গিয়েছে ঘুম কম হওয়ার প্রবণতা। এশিয়ান প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ২০ শতাংশ ব্যক্তির ঘুম প্রায় ঠিকঠাক হয়।  অন্যদিকে ৪২ শতাংশ ব্যক্তির মধ্যে পর্যাপ্ত শারীরিক সক্রিয়তা দেখা যায় না। যার ফলে হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।


ডিসক্লেমার: এই দাবির স্বতন্ত্র। এর সঙ্গে এবিপি আনন্দের কোনও যোগ নেই। এবিপি আনন্দ এমন কোনও দাবিকে সমর্থন জানায় না।


আরও পড়ুন - Health Tips: প্যাচপেচে গরমে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান ? ৫ টিপস খেয়াল রাখলে অসুস্থ হওয়ার ভয় নেই