সুমন ঘড়াই, কলকাতা: ১৯তম দিনে ইউক্রেনে লাগাতার রুশ-হামলা, ধ্বংসস্তূপ কিভ। খারকিভ, ডনবাসে রাশিয়ার রকেট হামলা, গোলাবর্ষণ। আরপিনে এখনও আটকে রয়েছেন ১০ হাজার মানুষ। শহরের ৩০ ভাগ রুশ সেনার দখলে, জানিয়েছেন আরপিনের মেয়র। এরই মধ্যে বাংলায় যারা ফিরে এসেছেন, সেই সকল পড়ুয়াদের সঙ্গে এবার দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


জানা গিয়েছে, ১৬ মার্চ ইউক্রেন ফেরত বাংলার পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৬ মার্চ বেলা ১২ টায় ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে এখনও অব্যাহত যুদ্ধাবহ। রুশ গোলায় কিভের ফুড ডিপোয় আগুন লাগে এদিন। ইউক্রেনের একাধিক শহরে এয়ার রেড অ্যালার্ট জারি হয়ে রয়েছে। এছাড়াও চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনর্দখলের দাবি করেছে ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে নো ফ্লাই জোন করা হোক, আর্জি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। 


এই প্রেক্ষাপটেই  আজ ফের রাশিয়া-ইউক্রেন বৈঠক হয়। ভার্চুয়ালি হয় এই বৈঠক। কিন্তু শেষমেশ কোনও রফাসূত্র বেরোয়নি। এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কথা হয় ফরাসি প্রেসিডেন্টের এম্যানুয়েল মাকরোঁর। 


অন্যদিকে, কাল আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নবান্নে বৈঠক রয়েছে। সব জেলার এসপি, সিপি, এডিজি সিআইডি, আইবি-র সঙ্গে বৈঠক হবে মুখ্যসচিবের। নবান্নে দুপুর ২ ভিডিও কনফারেন্স। মুখ্যসচিবের এই বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে সব জেলার এসপি, সিপি, এডিজি সি আই ডি, আই বি সহ সব শীর্ষ আধিকারিককে। এদিকে,  রাজ্যে জোড়া কাউন্সিলরের মৃত্যু নিয়ে এবার নবান্নের বৈঠকে হল আলোচনা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে বৈঠক হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা চলে বলে সূত্রের খবর। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা, ডিআইজি-সিআইডির কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 


নবান্ন সূত্রে খবর, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় গণ্ডগোল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরা। অশান্তির ঘটনায় রং না দেখে পদক্ষেপ নিতে হবে’। এরপর প্রশাসনিক বৈঠকের পরে ফুরফুরা শরিফের পিরজাদার সঙ্গে বৈঠকও হয়। সেখানে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শেষ দেখে ছাড়ব, কেউ ছাড়া পাবে না, সবাই শাস্তি পাবে। এমনই আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি কাসেম সিদ্দিকির।