কলকাতা: ইউক্রেন-পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।  রাজনৈতিক বিরোধিতা সরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 


চিঠিতে মমতা লিখেছেন, "দেশের মর্যাদা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরাতে আমরা সবাই পাশে আছি। যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় ভারতের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে সবাই জানে। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সর্বদল বৈঠক ডাকা যায় কিনা ভেবে দেখতে পারেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র হিসেবে বিশ্বে শান্তি রক্ষায় ভারতকে নেতৃত্ব দিতে হবে’।                    


এদিকে, ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ফের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ভারতীয়দের কীভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বের করে আনা যায়, পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে, সে সব নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।  বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৪ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলিতে পাঠানো হবে যাতে তাঁরা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া তদারকি করতে পারেন। এঁরা হলেন হরদীপ পুরী (Hardeep Puri), জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ( Jyotiraditya Scindia) , কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) এবং ভি কে সিং ( VK Singh)

পোল্যান্ডের ওয়ারশ-তে (Warsaw) ভারতীয় দূতাবাসের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলে হয়েছে, যেসব ভারতীয়রা ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ড হয়ে দেশে ফিরতে চান, তাঁদের জন্য ১০ টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাসগুলি ইউক্রেন সীমান্তে শেহয়নিতে ( Shehyni) অপেক্ষা করবে। এই বাস ঢুকবে পোল্যান্ডে।  


ইতিমধ্যেই ৬ টি বিমান দেশে ফিরেছে ভারতীয়দের নিয়ে। এখনও হাজার হাজার ভারতীয় আটকে সেখানে। রাশিয়া ও ইউক্রেন নিয়ে এখনও ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছে মোদি সরকার। তবে আগামীদিনে দুই দেশকে নিয়ে কূটনৈতিক রূপরেখা কী হবে, তার জন্য রবিবার রাতে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা।