কলকাতা :  নতুন তিন ফৌজদারি আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ওই তিন আইন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন তিনি। ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা  আছে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য় অধিনিয়ম। আর তার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠি নিশ্চিতভাবে বিশেষ গুরুত্ববহ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।


প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে নতুন তিন আইন কার্যকরের সময় কিছুটা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নীতিগতভাবে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য় অধিনিয়ম নিয়ে নতুন সংসদে আলোচনারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, নৈতিকতার দিক তিনি মনে করেন, সংসদীয় ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার কথা ভেবে নবনির্বাচিত লোকসভার সদস্যদের তাঁদের আমলে কার্যকর হওয়া আইন নিয়ে বিতর্কে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রীর চান ওই তিন আইন সংসদে নতুন করে পেশ করা হোক। গত বাদল অধিবেশনে, দ্রুততার সঙ্গে পাশ করানো হয়েছিল ওই বিল। তাই এবার আলোচনা হলে, নতুন জনপ্রতিনিধিরাও আইনগুলি খতিয়ে দেখার সুযোগ পাবেন।


তাছাড়া এই তিন ফৌজদারি আইন নিয়ে সাধারণ মানুষ সচেতন না হওয়ায় আপাতত নতুন তিন আইন প্রনয়ন না করার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী।  গত বছরের ১১ অগাস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, ১৮৬০ সালে তৈরি 'ইন্ডিয়ান পেনাল কোড' এর বদলে আসবে  'ভারতীয় ন্যায় সংহিতা' । ১৮৯৮ সালের 'ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট' এর জায়গায় আসবে 'ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা' । ১৮৭২ সালের 'ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট' প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য বিল’ দিয়ে। অমিত শাহ আরও বলেন, ১৮৬০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা ব্রিটিশদের তৈরি আইন অনুসারে কাজ করেছিল। এই তিনটি আইনে বদল এলে, দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। আলোচনার জন্য তিনটি বিলই স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হয়।  


 


আরও পড়ুন :                        


বর্ষার আগমন বার্তা স্পষ্ট, তবু এখনই ভারী বৃষ্টি নয় ! এই তারিখ থেকেই প্রবল বর্ষণ কলকাতায়