অ্যান্টিগুয়া : প্যাট কামিন্সের হ্যাট-ট্রিকের পর ডেভিড ওয়ার্নারের অপরাজিত অর্ধ শতরান। ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। ১৪১-এর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু, বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। ওয়ার্নার তখন অপারজিত ৫৩। Par Score-এ অস্ট্রেলিয়া ২৮ রানে এগিয়ে ছিল। যার উপর ভর করে ডিএলএস পদ্ধতিতে তাদের জয়ী ঘোষণা করা হয়। এর আগে শেষলগ্নে প্যাট কামিন্সের হ্যাট-ট্রিকের ওপর ভর করে বাংলাদেশকে ১৪০ রানে আটকে দেয় অস্ট্রেলিয়া। কামিন্সকেই প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিশেল মার্শ বলেন, আজ অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্স দেখা গেছে। ছেলেরা ভাল খেলেছে। আমাদেক প্রতিষ্ঠিত একাদশ রয়েছে। আমাদের গ্রুপটাও চমৎকার।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্টো বলেন, "উইকেট একটু স্লো ছিল। কিন্তু, ব্যাট করার পক্ষে ভাল ছিল। অন্তত ১৭০ রান তোলা উচিত ছিল। আরও ঝুঁকি নেওয়াও উচিত ছিল। অধিনায়কত্বের ভূমিকা উপভোগ করেছি। ব্যাটে আরও অবদান রাখতে পারব বলে মনে করছি। এই ম্য়াচে টপ অর্ডারের রান পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভারতের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে বোলাররা ভাল করবেন বলে আশা করছি।"
ইনিংসে শুরুতেই, বলা ভাল তৃতীয় বলে তানজিন হোসেনকে তুলে নেন মিশেল স্টার্ক। আর এর সঙ্গে সঙ্গে নয়া রেকর্ড গড়লেন তিনি। পেরিয়ে গেলেন শ্রীলঙ্কার লসিথ মালিঙ্গাকে। একদিনের ও টি২০ বিশ্বকাপে সবথেকে বেশি উইকেটের শিকারি এখন তিনি।
তবে, লিটন দাস ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্টোরর ব্যাটিংয়ে ভর করে ম্যাচে ফিরে আসেন টাইগাররা। চতুর্থ ওভারের শুরুতেই জশ হ্যাজেলউডকে বিশাল ছক্কা হাঁকান শান্টো। এরপর পঞ্চম ওভারে ২টি চার। পাওয়ার শেষ অবধি টিকে থাকে এই জুটি। ৯ ওভারে দাসকে তুলে নেন জাম্পা। ড্রিঙ্কস বিরতির আগে শেষ ডেলিভারিতে রিশাল হোসেনের উইকেট খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ। নিয়মিত ব্য়বধানে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে টাইগাররা। মাঝের ব্যাটিং অর্ডারে কার্যত কোনও পার্টনারশিপপ গড়ে তুলতে পারেনি।
১৩ তম ওভারে শান্টোকে তুলে নেন জাম্পা। ৩৬ বল খেলে ৪১ রান করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এই উইকেটের পতনের পর বিশাল চাপ বাড়ে বাংলাদেশের মিডিল অর্ডারের ওপর। ১৮ তম ওভারে দুটি উইকেট তুলে নেন কামিন্স। এরপর ২০ ওভারের শুরুতে তুলে নেন হৃদয়কেও। অর্থাৎ, ওভারের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক করেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। টুনার্মেন্টের প্রথম হ্যাটট্রিক এটি। তাঁর বোলিং পরিসংখ্যানও নজরকাড়া রইল এধিন। চার ওভার বল করে ২৯ রান খরচ করে তুলে নিলেন ৩টি উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে তিনি টি২০ বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করলেন। এর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই একই নজির গড়েছিলেন ব্রেট লি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের হয়ে হৃদয়ের ২৮ বলে ৪০ রানে ভর করে ১৪১ -এর লক্ষ্যমাত্রা দিতে সক্ষম হন টাইগাররা। ৮ উইকেট খুইয়ে ১৪০ রান করে বাংলাদেশ।