কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য। সেই আবহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশে যে হারে ধর্ষণ এবং ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে দ্রুত বিচার এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানালেন তিনি। (Mamata Banerjee)


কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। ঘটনার পর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কিনারা হয়নি। বরং প্রতিবাদ ও মিছিল চলাকালীন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমন আরও একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। সেই আবহেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। (Narendra Modi)


বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে সাংবাদিk বৈঠকে চিঠিটি পড়ে শোনান। এর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী খোদ। চিঠিতে মমতা লিখেছেন, 'গোটা দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে। কিছু ক্ষেত্রে ধর্ষণের পর খুনও করা হচ্ছে। এ নিয়ে যে পরিসংখ্যা উঠে আসছে, তা ভয়ঙ্কর। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন দেশে ৯০টি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে গোটা দেশ এবং সমাজের বিবেকবোধ এবং আত্মবিশ্বাসও কেঁপে উঠেছে। আমাদের সকলের কর্তব্য এই অপরাধে ইতি টানা, যাতে দেশের মহিলারা নিরাপদ এবং সুরক্ষিত বোধ করেন'। (RG Kar Case)



চিঠিতে মমতা লিখেছেন, 'এই ধরনের গুরুতর এবং স্পর্শকাতর বিষয়ের ক্ষেত্রে বিশদে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকারকে কঠোর আইন আনতে হবে, যাতে জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। ফাস্ট ট্র্যাক ট্রায়াল কোর্ট গড়ে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে যাতে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তা দেখতে হবে এক্ষেত্রে'।


ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে প্রধানমন্ত্রীকে এই চিঠি লেখার কয়েক ঘণ্টা আগে, একই মর্মে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার নয়, ধর্ষণ রোখার ক্ষেত্রে রাজ্যের সরকারগুলিকেও পদক্ষেপ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ধর্ষণের ঘটনায় কঠোর সাজার ব্যবস্থা করতে রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক। ফাঁপা প্রতিশ্রুতি নয়, দ্রুত বিচার এবং কঠোর সাজার ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানান। এর কয়েক ঘণ্টা পরই মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রীকে।