কলকাতা: জ্বর-কাশি নিয়ে অসুস্থ অবস্থাতেই আজ সভা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু সভা শেষ হতেই বললেন জ্বর নেই আর, জানালেন তার কারণও। 


 সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে ৪৮ ঘণ্টার ধর্নায় বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন মমতা বললেন, 'আমি বেশি কথা বলব না। কারণ আমার একটু কাশিটা বেড়েছে। ৪৮ ঘণ্টা ওখানে থাকার ফলে, রঙের যে বিষাক্ত কালারটা,  গলায় ঢুকেছে। ফলে আমার কাশিটা বেশি হচ্ছে। কিন্তু আমি কোনওদিন প্রোগাম নষ্ট করি না, তাই একটু শর্ট (সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া) করে দিচ্ছি। এবং আপনারা চিন্তা করবেন না, আমার এতটাই ঠান্ডা লেগেছে যে, এখন আমি যখন আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি, তখন আমার ১০০ তাপমাত্রা রয়েছে।সত্যিই আমি আশা করি ১ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। কাল বাজেট আছে। আমি বাজেটে যাব।' এদিন অনুষ্ঠানের যবনিকা টেনে তৃণমূল সুপ্রিমো শেষ অবধি বলেন, আপনার কাছে এসে আমার তাপমাত্রাও কমে গিয়েছে।'


এদিন তিনি বলেন,'  রিসেন্ট বর্ষা হয়ে গেল,জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ১১ লক্ষ চাষী ভাইকে আরও ১০২ কোটি টাকা দিচ্ছি। গত বছর আড়াই  লক্ষ কৃষি ভাইকে দেওয়া হয়েছে। যারা দুয়ারে সরকার, সরাসরি মুখ্য়মন্ত্রীতে নাম লিখিয়েছিলেন। তাদের মধ্য়ে থেকে ৯০ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভান্ডারে ঢুকিয়ে দিলাম। ১ তারিখ থেকে টাকা যেতে শুরু হয়েছে ৩ কোটি।১০ লক্ষ বার্ধ্য়ক্য় ভাতা। ১ লক্ষ ৪ হাজার মহিলা ভাতা, ৭ হাজার মানবিক ভাতা, কন্য়াশ্রীতে আরও ১০ লক্ষ। রুপশ্রী বিয়েতে ২৫ হাজার, এটাও ৮৫ হাজার। '


আরও পড়ুন, 'কাটমানির টাকায় দিঘায় জগন্নাথ ধাম..', বিস্ফোরক শুভেন্দু



অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,' ৩ বছর ধরে টাকা পায়নি। ২১ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডার কেন্দ্র দেয়নি।২ বছর ধরে দেয়নি। তাদের টাকাও আমরা পাঠাতে শুরু করেছি। পেয়ে যাবেন। দিনের পুর দিন বঞ্চনার জন্য় দিল্লি গেছিল। অভিষেকদের নের্তৃত্বে এমপি এমএলএ রাষ সাধারণ মানুষ ট্রেন ক্য়ানসেল করে দিয়েছে। বাসে করে গেছে। আমি নিজে ৪৮ ঘণ্টা অনশন করেছিলাম। আবার করলাম। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে গেছিলাম,গরিব মানুষের জন্য় কিছু করতে পারলে নিজেকে ধন্য় মনে করি। বলার অনেক আছে। বহু মানুষের জন্ম হাওড়া। আগে বলা হত প্রাচ্য়ের ম্য়ানচেস্টার। বাম আমলের শেষে কিছুই ছিল না। আমরা হাল ফিরিয়ে দিয়েছি। কোটি কোটি টাকা স্টেট গর্ভনমেন্টের খরচ হচ্ছে ৭৫ ভাগ আমার খরচ। ওদের ২৫ ভাগ জিএসটি।'