কলকাতা: ভাঙড়ে লাগাতার অশান্তিকাণ্ডে (Bhangar Violence) বড় সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ভাঙড়কেও কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) আওতায় নেওয়ার নির্দেশ। কলকাতা পুলিশের সিপি-কে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর ।
পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে বেলাগাম হিংসা ভাঙড়ে
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে রাজ্যের যে কটি জায়গায় সবথেকে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। এই এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা থেকে শুরু করে মনোনয়ন পর্ব, ভোটের দিন এবং পঞ্চায়েত ভোটের ফলপ্রকাশের পরও অশান্তি অব্যহত রয়েছে। এই এলাকায় হিংসার বহর বাড়তেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
ভাঙড়কে নিয়ে নতুন ডিভিশন করার নির্দেশ
যদিও তারপরেও হিংসার ঘটনা একের পর এক ঘটেছে। এমন কি খুনের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। তবে শুধুই পঞ্চায়েত ভোট নয়, এর আগেও একাধিক ইস্যুতে ভাঙড় উত্তাল হয়েছে। জ্বলেছে হিংসার আগুন। আর এহেন পরিস্থিতিতেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙড়কে নিয়ে নতুন ডিভিশন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কলকাতা পুলিশকে নিয়ে প্রশংসা মমতার
অপরদিকে বরাবরই কলকাতা পুলিশকে নিয়ে গর্ব করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ইস্যুতে সম্প্রতি মমতা বলেছিলেন, 'বাংলার পুলিশ অফিসাররা, যে কোনও পুলিশের থেকে ইম্পোট্যান্ট লাইক এনিথিং। এবং আপনারা জানেন একটা সময় কলকাতা পুলিশকে, স্কটল্যান্ড পুলিশের সঙ্গে তুলনা করা হত। সুতরাং আমাদের পুলিশরা যথেষ্ট স্মার্ট।'
আরও পড়ুন, INDIA-কে 'জঙ্গি গোষ্ঠী' বলে কটাক্ষ, বিকাশ রঞ্জনের নিশানায় মোদি
নৌশাদ ও মমতা
অপরদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগেও একাধিক হিংসার ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ভাঙড়। জল এতটাই গড়িয়েছিল যে, তার আঁচ পড়েছিল কলকাতাতেও। গ্রেফতার হয়েছিলেন সেবার আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। এমনকি তারপরেও আরও একবার অশান্তি ছড়িয়েছিল ভাঙড়ে। এবং সেটাও পঞ্চায়েত ভোট শুরুর আগেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় সেবার, আইএসএফ বিধায়ক নিজেই নবান্নে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু সেদিন ব্যস্ততার কারণে মমতা দেখা করতে পারেননি। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই ভাঙড়কাণ্ডে জন্য খোদ নৌশাদকেই দায়ি করেছিলেন সেবার মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই মুহূর্তে পঞ্চায়েত ভোট পেরিয়ে গেলেও রাজ্যে হিংসার ঘটনা অব্যহত। আর তারই মধ্য়ে, তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বক্তব্য অনুযায়ী, 'মণিপুর ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতে বাংলার হিংসার ঘটনায় সরব বিজেপি নেতারা।' তবে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাবার আগেই, মাস্টারস্ট্রোক মমতার।