নয়াদিল্লি: কথায় বলে নামকরণেই সব। নামের প্রতিফলন হয় ব্যাক্তিত্বে। তাহলে বিরোধী জোটের নামকরণের ক্ষেত্রে নয় কেন ? তবে নামটা যদি দেশের নামে হয়, চোখটা একবার হলেও ঘোরে, কোনও রাজনৈতিক কারণ ছাড়াই। তবে জেনে হোক, আর না জেনে হোক, রাজনৈতিক হোক কিংবা অরাজনৈতিক কারণে, এমনিতেই দেশের নামে সার্চিং কি ওয়ার্ডের ভিউ একটু বেশিই থাকে। আর এখানেই ট্য়ুইস্ট। মূলত, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে, যে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে উঠেছে, তারই নাম রাখা হয়েছে দেশের নামেই। নাম দেওয়া হয়েছে INDIA. আর দেশের নামে জোটের নাম রাখার সিদ্ধান্তকে নিশানা করতে গিয়ে, বিরোধীদের মুজাহিদিন, PFI-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন মোদি। আর এবার এনিয়ে পাল্টা নিশানা করলেন সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)।


বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'দুর্ভাগ্য যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজের দেশের অধিকাংশ মানুষের ইচ্ছার যে প্রতিফলন সেটা উপলব্ধি করেন না। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সম্মেলনকে তিনি বললেন সন্ত্রাসবাদী। আসলে নিজেরা আতঙ্কে ভুগছেন বলেই সবকিছুতে আতঙ্কবাদ দেখছেন।' প্রসঙ্গত,  মোদির এই মন্তব্য সামনে আসতেই প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন বিরোধী শিবিরের নেতানেত্রী এবং সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, 'বোঝা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদি ভয় পেয়ে গিয়েছেন। এই জোট কাজ করতে শুরু করেছে। সংগঠিত ভাবে, পরিকল্পিত চিন্তাভাবনা নিয়ে এগোচ্ছে। সেটা যে কাজ করছে, বুঝতে পারছেন, বুঝতে পারছেন সময় হয়ে এসেছে। তাই এসব উল্টোপাল্টা মন্তব্য করছেন।' 


কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, 'কংগ্রেসের মতো একটা দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠান, যা ১৩৮ বছর অতিক্রম করেছে, তখনও জন্মই হয়নি বিজেপি-র। বিজেপি কখনও ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি, জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও লড়াই করেনি। মোদি ভুলে যাচ্ছেন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন ইন্দিরা গাঁধী, রাহুল গাঁধী। তাঁদেরকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন? একটা মণিপুর নিয়ে উত্তর দিতে পর্যন্ত ভয় পাচ্ছেন। তাই কী বললেন, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।'  


আরও পড়ুন, 'এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক আড্ডা', উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বললেন দেব


তবে স্বাভাবিকভাবেই মোদির মন্তব্য কোনও ভুল খুঁজে পাননি বিজেপির সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন,'  আমরা তো চেয়েছি ওরা এক হয়ে যাক! দেশের মানুষ জানুন, কে দেশের, কে বিদেশের। যাঁরা নিজেদের INDIA বলছেন, তাঁরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি। ন্যাশনাল কংগ্রেস একজন ব্রিটিশ নাাগরিক প্রতিষ্ঠা এবং নামকরণ করেছিলেন। সন্ত্রাসী সংগঠন মুজাহিদিনেও INDIA রয়েছে। INDIA বললেই দেশপ্রেমী হওয়া যায় না। দেশদ্রোহীরাও INDIA নাম নেয়। ভারতবাসী জানুন, কে ভারতের পক্ষে, কে বিপক্ষে।'