কলকাতা: দোরগড়ায় ২০২৪। ক্যালেন্ডারে তারিখ শুধুই তারিখ বদলানোর অপেক্ষা । আর এমনই এক মুহূর্তে রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ (SSKM) এসে নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।  


নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী


মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'পয়লা জানুয়ারি ২০২৪-কে স্বাগত জানাই। যেহেতু হাসপাতালে এসেছি, ডক্টর,নার্স, পুলিশ থেকে শুরু করে..' সকল ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই তিনি শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় বলি, সবারে করি আহ্বান। এসো উৎসুক চিত্ত, এসো আনন্দিত প্রাণ।' 


বাংলায় একলা চলার নীতিতে এগোতে চাইছে শাসক দল?


এদিকে দোরগড়ায় লোকসভা ভোট। বিজেপির বিরুদ্ধে সারা দেশে লড়বে ইন্ডিয়া জোট। বাংলায় লড়াই করবে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তার পরে, রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, তাহলে কি বাংলায় একলা চলার নীতিতে এগোতে চাইছে শাসক দল? বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেছে সিপিএম ও কংগ্রেস। জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।  


'তৃণমূলই বিজেপিকে শিক্ষা দিতে পারে'


সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'INDIA' জোট সারা ভারতবর্ষে থাকবে। আর বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করবে!এগিয়ে আসছে লোকসভা ভোট। বাংলায় ৩৫ আসন জয়ের টার্গেট সেট করেছে বিজেপি। কিন্তু,বিজেপি-বিরোধী দলগুলো এরাজ্য়ে কীভাবে লড়বে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। এই আবহেই বাংলায় কি কার্যত একলা চলার বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী? তিনি কি বুঝিয়ে দিলেন, এরাজ্যে কংগ্রেস, সিপিএম কারও সঙ্গে জোটের পক্ষপাতী নন তিনি? তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাংলা তৃণমূলই বিজেপিকে শিক্ষা দিতে পারে। সারা ভারতকে পথ দেখাতে পারে। অন্য কোনও পার্টি নয়।


আরও পড়ুন, 'পিছন থেকে মমতার ছবিটা সরে গেলে, হ্যাঙ্গারে জামা', বিস্ফোরক সব্যসাচী দত্ত


মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় একথা বললেও, কিছুটা অন্য় সুর শোনা গেছে তাঁর দলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের গলায়। কুণাল ঘোষ বলেছিলেন,কংগ্রেসের সঙ্গে হতে পারে জোট, কিন্তু সিপিএমের সঙ্গে কোনও প্রশ্নই নেই। বাংলায় জোট প্রশ্নে অব্যাহত জট। 'INDIA' জোটের শরিক হলেও, সিপিএম নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, তৃণমূলকে বাংলার মাটিতে ছেড়ে কথা বলবে না তারা। জাতীয় মঞ্চে, বিজেপির বিরোধিতায় বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলের পাশে থাকলেও বাংলার মাটিতে নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা ও গরু পাচারের মতো বিষয়ে তৃণমূলকে নিয়মিত তুলোধনা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।