কলকাতা: 'ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে প্রথম প্রাচীর সুন্দরবন। কিন্তু, সেই ম্যানগ্রোভ (Mangroves) ধ্বংস করে মাছ চাষের ভেড়ি করা হচ্ছে।' ট্যুইটে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। 'পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানোর দাবি করেছে। বাস্তবে শাসক দলের নেতারা বাণিজ্যিক কারণে ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস করছে। প্রায় ৬০০ একর জায়গা জুড়ে ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে মাছ চাষের ভেড়ি।’কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রীকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করছি, ট্যুইট শুভেন্দুর।
শুভেন্দুর ট্যুইটের পাল্টা জবাব: বিরোধী দলনেতার এই ট্যুইট প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “রাজ্যের মানুষ তিন তিনবার মুখ্যমন্ত্রী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সুতরাং আমরা সিদ্ধান্ত নেব রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কোথায় কী করা উচিত, সেটা সুন্দরবন বা অন্য কোনও জায়গার প্রশ্নে হোক। আমরা বিজেপি নির্দেশিত পরথে হাঁটব না। ওরা সমালোচনা করলেই সেখান থেকে পিছিয়েও আসব না।’’
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহ রূপ দেখেছিল সুন্দরবন। ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। সুন্দরবনের কোনও কোনও জায়গায় ইয়াসের ক্ষত এখনও দগদগে। ঘূর্ণিঝড়ের দোসর ভরা কটালের জলোচ্ছ্বাসে বহু জায়গায় ভেঙে গিয়েছে সমুদ্র বাঁধ। ভাঙন ধরেছে নদী বাঁধে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ ধ্বংসই সুন্দরবনকে বারবার বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তাই ইয়াস-পরবর্তী ধাক্কা সামলে ওঠার পাশাপাশি সুন্দরবন বাঁচাতে ফের উদ্যোগী হল প্রশাসন। ২০২১ সালে সুন্দরবন বাঁচাতে ম্যানগ্রোভ লাগানোর উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। লক্ষ্য ছিল ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানো। সুন্দরবন ও উপকূলের ভাঙন রুখতে ওই বছরই ব্যাপক হারে ম্যানগ্রোভ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথা মতোই গাছ লাগাতে এগিয়ে আসে সুন্দরবন জেলা পুলিশ।