কলকাতা : পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল ক্যাডারদের কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন। তিনি অভিযোগ করলেন, কয়েক হাজার অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগ করছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এটা তৃণমূলের কৌশল বলেই দাবি বিরোধী দলনেতার।


ট্যুইটে শুভেন্দুর দাবি, ' ৬ মাসের জন্য দৈনিক ৫৬৫ টাকায় কয়েক হাজার অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগ করছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর। কোনও ঘোষণা ছাড়াই পঞ্চায়েত ভোটের আগে চলছে নিয়োগ। তৃণমূল ক্যাডারদের পঞ্চায়েত ভোটের আগে কাজে লাগানো হচ্ছে। নয়তো, ঘুষের বিনিময়ে এই সমস্ত পদ বিক্রি করা হচ্ছে।'  ট্যুইটে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  


ট্যুইটে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ' প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন হল যে; একজন যোগ্য প্রার্থী কীভাবে শূন্যপদ সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং পদটির জন্য আবেদন করবেন? @HomeBengal কে ট্যাগ করে তিনি লেখেন ' ইতিমধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত হোম গার্ডদের নির্বাচন পদ্ধতি বিশদ তথ্য দিতে পারেন? বাছাই এবং নির্বাচনের ভিত্তি ? কে তাদের বাছাই করল? মানদণ্ড কী ছিল?' 


পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামে গ্রামে জনসংযোগ বাড়াতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে ঘাসফুল শিবির। রাজ্যের ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জেলে মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়অনুব্রত মণ্ডলের অবস্থাও তাই। এই সুযোগে যখন বিরোধীরা একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছে, তখনই গ্রামগঞ্জে নিজেদের ভিত আরও পোক্ত করতে তৈরি তৃণমূল। 


বছরের শুরুতেই দিদির দূত  অ্যাপ আনা হয়েছে।  নির্বাচনের আগে ৬০ দিনের জন্য দলের নেতা - নেত্রীরা ছুটবেন গ্রাম থেকে গ্রামে, ঘর থেকে ঘরে। বলা হয়েছে, তৃণমূলের হেভিওয়েট থেকে জেলা স্তরের নেতারা সবাই ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণ সব প্রকল্পের সুবিধে পাচ্ছে কি না খোঁজ নেবেন। রাত কাটাবেন গ্রামে গিয়ে। এরই মধ্যে বিরোধী দলনেতার ট্যুইটে বিস্ফোরক অভিযোগ। 


 






এর আগে রবিবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ট্যুইটে অভিযোগ করেন, 'ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে মাছ চাষের ভেড়ি করা হচ্ছে' । তিনি ট্যুইটে লেখেন, পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল সুন্দরবন । সেখানে ম্যানগ্রোভ অরণ্য ঘূর্ণিঝড়ের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার প্রথম প্রাচীর। কিন্তু রাজ্য সরকার যে দাবি করছে যে, তারা ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগাচ্ছে, সেই দাবি মিথ্যে। কারণ, বাস্তবে শাসক দলের নেতারা বাণিজ্যিক কারণে ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস করছেন।