আবির দত্ত, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার নজরে মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠের নামে থাকা টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার (Teachers Training Center)। সেই সূত্রেই এদিন উত্তর ২৪ পরগনার মহিষবাথানে (Mahishbathan) ইডি-র (ED) হানা। সূত্রের খবর, এই এলাকায় মানিক ভট্টাচার্যর এক ঘনিষ্ঠের নামে ভাড়া নেওয়া টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার চালানো হত। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের যোগ রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই অভিযান। তালা ভাঙতে আনা হল চাবিওয়ালা।                                            


এই সেন্টারকে ঘিরে একাধিক জল্পনা রয়েছে। একাধিক সূত্রে খবর, ওএমআর পেপার বা সাদা খাতা জমা দিয়ে কীভাবে চাকরি পেতেন চাকরিপ্রার্থীরা সেই ধরনের কোনও কিছু তথ্য এখানে আছে কি না তা খতিয়ে দেখবেন ইডির আধিকারিকরা। এদিকে, এই ভাড়া নেওয়া সেন্টারের বাড়িওয়ালার দাবি প্রায় পাঁচ মাস ভাড়া বাকি রয়েছে।                                                     


আরও পড়ুন, 'লিস্টের কী হল? পাঠিয়ে দিয়েছি', মানিকের হোয়াটসঅ্যাপে ঘেঁটে নয়া তথ্য ইডির হাতে


 



জানা গিয়েছে, মিনার্ভা এডুকেশন সোসাইটির নামে অফিসে ভাড়া নেওয়া হয়েছে। তালা ভেঙে ওই সেন্টারের ভিতরে ঢুকেই চিরুণি তল্লাশি শুরু করেছেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি আধিকারিকরা জানতে পারেন যে সময়ে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল ছিল, সেই সময় অর্থাৎ ২ মাস আগে আচমকাই এই সেন্টারের সামনের সাইনবোর্ড খুলে ফেলা হয়। কেন হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেওয়া হল? তা নিয়ে বাড়ছে দ্বন্দ্ব। আলিমারি থেকে যেমন নথি বের করে দেখা হচ্ছে, তেমনই সব ছবি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কীভাবে এই যোগ রয়েছে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। 


বাড়ির মালিকের কাছ থেকে এই সেন্টারের বিষয়ে সবরকম তথ্য সংগ্রহেরও চেষ্টা করে চলেছেন ইডির আধিকারিকরা। সেন্টারের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরার দিকেও নজর রেখেছেন তাঁরা। কেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলা যখন মধ্যগগনে সেই সময়ই এই সেন্টারটিকে বন্ধ করে দেওয়া হল সে প্রশ্নই এখন ভাবিয়ে তুলেছে ইডির আধিকারিকদের।