রুমা পাল, কলকাতা: মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মানিকতলা (maniktala) বিধানসভা (assembly) কেন্দ্রে ভোট নয়, খবর নির্বাচন কমিশন (election commission) সূত্রে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডের (sadhan pandey) মৃত্যু হয়। নিয়ম অনুযায়ী, তার ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন (by-election) হওয়ার কথা। কিন্তু ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে আগেই মামলা (case) করেছিলেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থী। সেই মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগে সম্ভবত মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে না, এমনই খবর কমিশন সূত্রে। 


একনজরে মানিকতলার খুঁটিনাটি...
দীর্ঘদিনের বিধায়ক সাধন পাণ্ডে একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে হারিয়ে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। সেই ভোটে কারচুপির অভিযোগে আগেই মামলা করেন পদ্মশিবিরের পরাজিত প্রার্থী কল্যাণ। আগামী ১০ অগস্ট সেই মামলার শুনানি হাইকোর্টে। এদিকে হিসেব মতো ২০ অগস্টের মধ্যে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, হাইকোর্টে মামলাটির নিষ্পত্তি হওয়ার আগে সেখানে উপনির্বাচন চায় না কমিশন। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোট হওয়া কার্যত অসম্ভব বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 


সাধন পাণ্ডে...
বেশ কিছু দিন রোগভোগের পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতার। কিন্তু জীবনের শেষ ভোটেও জিতেছিলেন। যদিও সেই বারের লড়াইটা খুব সহজ ছিল না বলেই মনে করেছিলেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ, ২০১৯-র লোকসভা ভোটের ফল অনুযায়ী মানিকতলা আসনে সামান্য ব্যবধানেই এগিয়েছিল তৃণমূল। তবে বিধানসভা ভোটের প্রচারে লোকসভার ফলাফলকে গুরুত্বই দিতে চাননি সাধন। প্রচারের সময় বারবার বলেছিলেন, এবার লক্ষ্য নয়। অর্থাৎ , নবমবারের জন্য বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া। আর জয়ের পর বলেন, ‘মানুষের হয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। জনগণই আমাদের শক্তি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের শক্তি। জেতার পর আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়ল। ফুলের মালা পরতে গেলে কাঁটা সহ্য করতে হবে। গত ১০ বছরে আমরা অনেক কাজ করেছি।’
তাঁর চলে যাওয়ার পর থেকে খালি রয়েছে মানিকতলা কেন্দ্র। কবে জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে পারবেন সেখানকার মানুষ? এখন নতুন প্রশ্ন।  


আরও পড়ুন:প্রয়াত '১ টাকার চিকিৎসক' পদ্মশ্রী সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়