সনৎ ঝা , দার্জিলিং : আজই রাজ্যে ফিরছে মণিপুরের ধসে মৃত টেরিটোরিয়াল আর্মির ১০ জওয়ানের দেহ। এদের মধ্যে দার্জিলিং, মিরিক ও কার্সিয়ঙের ৯ এবং এক জওয়ান জলপাইগুড়ির বানারহাটের বাসিন্দা। দুটি বিমানে রাজ্যে পৌঁছবে ১০ জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ।
শোকের ছায়া পাহাড়ে
বাগডোগরায় নামার পর নিয়ে যাওয়া হবে ব্যাঙডুবি সেনা হাসপাতালে। সেখানে গান স্যালুট দেওয়ার পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে দেহ।
- ধসের ফলে মৃত্যু হয়েছে দার্জিলিঙের বাসিন্দা জওয়ান
- মিলন তামাং
- দিবাঙ্কর থাপা
- বেঞ্জামিন
- মার্কাস গুরুং
- সীতারাম রাই
- বিশাল ছেত্রী
- বিধান রাই
- ভূপেন রাই
- লাদুপ তামাং
- এছাড়াও নিহত জওয়ানদের মধ্যে রয়েছেন জলপাইগুড়ির শঙ্কর ছেত্রী ও পূর্ব সিকিমের সেরিং লেপচা।
জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার বাসিন্দা জওয়ান শঙ্কর ছেত্রী নির্মাণকাজের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। আগামী মাসেই বাবার অপারেশনের জন্য ঘরে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, তাঁর আগেই ঘরে ফিরল তাঁর মৃত্যু সংবাদ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট
মণিপুরে ধস-বিপর্যয়ে নিহত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,
মণিপুরে ধসে, দার্জিলিংয়ের (১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মি ইউনিট) ৯ জওয়ানের মৃত্যুর খবরে স্তম্ভিত! গভীর শোকপ্রকাশ করছি। এই কঠিন সময়ে স্বজনহারা পরিবার-পরিজনদের পাশে আছি। সমবেদনা জানাই।
আরও পড়ুন :
চোখ রাখুন প্রতি মুহূর্তের গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেটে
মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ কী বললেন
মণিপুরের নোনে জেলায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮১। সেনা সূত্রে খবর, এর মধ্যে ১৫ জন টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান। নোনে জেলার টুপুলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। মণিপুরের ইতিহাসে একে ভয়াবহ ঘটনা বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
উদ্ধারকাজ কতদূর
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও ধসের নিচে অন্তত ৫৫ জনের আটকে থাকার আশঙ্কা। এক জওয়ান-সহ ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেনা ও NDRF উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। যান চলাচলে প্রভাব পড়ায় উদ্ধারকাজ শেষ হতে আরও ২-৩ দিন লাগবে। বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ ১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মির ক্যাম্পের কাছে টুপুল স্টেশনে রেলওয়ে নির্মাণ শিবিরে ভয়াবহ ধস নামে।