কলকাতা: একের পর এক অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু। ১২ দিনে ৩ জন। ১৫ মে গরফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রী পল্লবী দের ঝুলন্ত দেহ। দুদিন আগে নাগেরবাজারে ফ্ল্যাট থেকে মডেল অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। আজ সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার বিদিশার বন্ধু অভিনেত্রী-মডেল (Actress Model) মঞ্জুষা নিয়োগীর (Manjusha Nuyogi) ঝুলন্ত মৃতদেহ।


আজ সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ। সদ্য প্রয়াত বিদিশা দে মজুমদারের বন্ধু ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে দাবি করা হচ্ছে যে বান্ধবীর মৃত্যুর পর থেকেই ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন মঞ্জুষা। তাহলে কি সেই অবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হলেন? বিবাহিত মঞ্জুষা চার পাঁচ দিন আগেই বাপের বাড়িতে আসেন। মৃত অভিনেত্রীর মায়ের কথায়, 'বিদিশা ওর বান্ধবী ছিল। একসঙ্গে ওরা অনেক কাজ করেছে। কাল সারাদিন বিদিশার কথাই বলছিল। বারবার বলছিল যে আমিও বিদিশার মতো করব।'


মঞ্জুষার বন্ধু শঙ্খদীপ মুখোপাধ্যায়ের অবশ্য মত অন্য। তিনি বলছেন, ‘বিদিশার মৃত্যুর পর ডিপ্রেশনের জেরে আত্মহত্যার সম্ভাবনা নেই মঞ্জুষার। আগেও আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন মঞ্জুষা। কোনওমতে সে যাত্রা তাঁকে বাঁচান অভিনেত্রীর স্বামী।'


আরও পড়ুন: Aryan Khan Case: 'কোনও মাদক মেলেনি', কর্ডেলিয়া ক্রুজ কাণ্ডে আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট


মঞ্জুষার মায়ের আরও দাবি, 'কালও ভাল মনে শ্যুটিং সেরে এসেছিল। বিয়ের পর জামাই বলতো যে এত কাজ একসঙ্গে করতে হবে না। এই ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল বলে শরীর রোগা রাখত, খাওয়া-দাওয়া কম করত। আমিও বলতাম ভাল করে খাওয়া দাওয়া করত। না খেলে রোগ হবে। কিন্তু তার আগেই ও নিজেকে শেষ করে দিল।'


গত ১৫ মে পল্লবী দে-র দেহ উদ্ধার, তার ঠিক দশ দিন পর বিদিশা দে মজুমদারের দেহ উদ্ধার। এবং তার মাত্র দুই দিনের মাথায় বন্ধু মঞ্জুষা নিয়োগীর দেহ উদ্ধার। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কী কারণে এমন একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা, কোন মানসিকতা থেকে এই পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত, উঠছে প্রশ্ন।