কলকাতা: আজ সকালে পাটুলিতে (Patuli) বাড়ি থেকে উদ্ধার মডেল অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর (Manjusha Neogi) মৃতদেহ। বিদিশার মৃত্যুর পর থেকেই ডিপ্রেশনে ছিলেন মঞ্জুষা, দাবি করছেন পরিবারের লোকজন। মঞ্জুষার মৃত্যু-তদন্তে এবার উঠে এল নতুন তথ্য। 


মঞ্জুষার মৃত্যু-তদন্তে নয়া তথ্য


পাটুলি থানার তদন্তকারী আধিকারিকেরা মঞ্জুষা নিয়োগীর স্বামী, বেহালার বাসিন্দা রামনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন। বেহালা থানা এলাকা থেকে তাঁকে পাটুলি থানায় নিয়ে আসা হয়। পরিবারের দাবি, গতকাল রাতে মঞ্জুষার স্বামী তাঁর সঙ্গে বাড়িতে দেখা করতে আসেন। তারপরে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয় বলেও খবর। এরপর রামনাথ বেরিয়ে যান। আজ সকালে মঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। 


অভিনেত্রীর মায়ের দাবি, বিদিশার মৃত্যুতে বেশ ভেঙে পড়েছিলেন মঞ্জুষা। বারবার তিনি নাকি বিদিশা যেখানে গেছে সেখানে চলে যাওয়ার কথাও বলতেন। সেখানেই নাকি 'শান্তি' রয়েছে। অর্থাৎ আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। 


এই গোটা ঘটনায় মঞ্জুষার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের অন্যতম কারণ, জানা যাচ্ছে এই অভিনয় জগত থেকে সরে আসার জন্য প্রায়ই নাকি তিনি চাপ দিতেন স্ত্রীকে। এবং এই কারণে তাঁদের মধ্যে মাঝে মধ্যেই বচসা হত। গত রবিবার মঞ্জুষা পাটুলিতে তাঁর বাপের বাড়িতে আসে। এরপর গতকাল তাঁর স্বামী তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এলেও রাজি হননি মঞ্জুষা। তাতেই কথা কাটাকাটি। তবে গোটা ব্যাপারটাই তদন্ত সাপেক্ষ। দেহ গেছে ময়না তদন্তে। রিপোর্ট এলে তবেই মৃত্যুর আসল কারণ বোঝা যাবে।


ফের অভিনেত্রীর 'রহস্যমৃত্যু', শোকস্তব্ধ পরিবার


আজ সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ। সদ্য প্রয়াত বিদিশা দে মজুমদারের বন্ধু ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে দাবি করা হচ্ছে যে বান্ধবীর মৃত্যুর পর থেকেই ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন মঞ্জুষা। তাহলে কি সেই অবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হলেন?


আরও পড়ুন: Actress Death: পল্লবী-বিদিশা-মঞ্জুষা, ১২ দিনের ব্যবধানে গ্ল্যামার জগতে তিন মৃত্যু, উঠছে নানা প্রশ্ন


বিবাহিত মঞ্জুষা চার পাঁচ দিন আগেই বাপের বাড়িতে আসেন। মৃত অভিনেত্রীর মায়ের কথায়, 'বিদিশা ওর বান্ধবী ছিল। একসঙ্গে ওরা অনেক কাজ করেছে। কাল সারাদিন বিদিশার কথাই বলছিল। বারবার বলছিল যে আমিও বিদিশার মতো করব।'