কলকাতা : কসবা ল' কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃত মনোজিৎ মিশ্রদের ফের হেফাজতে চায় পুলিশ। সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন টিএমসিপি নেতা মনোজিৎ মিশ্র সহ ৪ জন।  পুলিশের হাতে এসেছে ফরেন্সিক রিপোর্ট, ডিজিটাল এভিডেন্সের রিপোর্ট এবং গেট প্যাটার্ন রিপোর্ট। পুলিশ সূত্রে খবর, রিপোর্টের সঙ্গে মনোজিৎ মিশ্র, প্রমিত মুখোপাধ্যায়, জেব আহমেদ ও নিরাপত্তারক্ষীর বয়ান মেলানো হবে। আরও ২ দিনের জন্য মনোজিৎ, প্রমিত ও জেব আহমেদকে নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ। নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৩ দিনের জন্য হেফাজতে চায় পুলিশ। 

আরও পড়ুন, আইনত একজনও BLO-কে বদল করতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী : শুভেন্দু

অপরদিকে, পাল্টা একাধিক অভিযোগ এনেছেন  মনোজিতের আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ, মনোজিৎকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে।  ডিএনএ টেস্টের সময় না জানিয়ে ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে মনোজিৎকে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ এনে দেখা হোক বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আরও অভিযোগ তোলা হয়েছে মনোজিতের আইনজীবীর তরফে। পরীক্ষার জন্য পুলিশের গাড়ি থেকে নামানো পর্যন্ত হয়নি মনোজিৎকে বলে অভিযোগ। সই করতে পারলেও কেন টিপ ছাপ নেওয়া হয়েছে ? এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। 

সম্প্রতি  মনোজিৎ মিশ্রকে নিয়ে আদালতে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পুলিশ। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের দুই মামলায় তাঁকে শ্য়োন অ্য়ারেস্ট দেখিয়েছিল পুলিশ। এতদিন কী করছিল রাজ্য, প্রশ্ন তোলে আদালত। এরপরেই গতমাসে মনোজিৎ সব চারজনকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজত বাড়ানোর নির্দেশ দেয় আদালত। গতমাসেই কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে ইতিমধ্য়েই পুলিশের তরফে আলিপুর আদালতে তথ্যপ্রমাণ উদ্ধারের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়ছিল ।সূত্রের খবর সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তদন্তে নেমে ৪টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। যার মধ্য়ে দুটি ফোন ছিল মনোজিৎ মিশ্রর এবং আরেকটি ধৃত কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

ইতিমধ্য়েই এই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।  পুলিশের তরফে আদালতে দেওয়া রিপোর্টে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার বিভিন্ন সামগ্রীর নথিও তুলে দেওয়া হয়েছে।সূত্রের খবর, ২৭ জুন সন্ধেয় পুলিশ কলেজের ইউনিয়ন রুম থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। সংগ্রহ করা হয় চুলের টুকরো ও সোয়াব।গার্ডরুম থেকে হলুদ রঙের কাপড় ও একটি কার্ড বোর্ডের টুকরো থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গার্ডরুম থেকেই একটি হকি স্টিকও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।