রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ফের বিধ্বংসী আগুন রাজ্যে। ভরদুপুরে ভয়াবহ আগুনের (Massive Fire) গ্রাসে রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের লোচনপুর পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর এলাকা । আগুনে (Massive Fire) পুড়ে ভস্মীভূত প্রায় ২৫টি বাড়ি। দমকল ও পুলিশ দেরিতে আসায় ক্ষোভ গিয়ে পড়ল পুলিশের গাড়িতেও (Police Car)। একটি পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
রোষ গিয়ে পড়ে পুলিশের গাড়িতে
জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে শ্রীরামপুর এলাকায় একটি বাড়িতে হঠাতই আগুন লেগে যায়। সেই আগুন ক্রমশই ভয়ানক আকার নেয়। আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে আশেপাশের বাড়িতে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায় স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। যদিও দমকল অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে অভিযোগ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয়রা। সেই রোষ গিয়ে পড়ে পুলিশের গাড়িতে।
আশ্রয়হীন একাধিক পরিবার
স্থানীয়দের দাবি, আগুনে পুড়ে গিয়েছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি বাড়ি। বাড়িতে থাকা একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি স্থানীয়দের। আগুনে পুড়ে গিয়েছে সমস্ত কিছুই। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে এলাকায় এই পরিবারগুলি। সরকারি সাহায্যের দিকেই তাঁকিয়ে অসহায় পরিবারগুলি।
লেলিহান শিখায় নেই যবনিকা
রাজ্যের অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ ঘটনার কিছুতেই যবনিকা পড়ছে না। লেলিহান শিখা কখনও বহুতল বিল্ডিংয়ে, কখনও খাবারের দোকানে, কখনও ঝুপড়িতে। সদ্য ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্তোষপুর স্টেশনে। বিধ্বংসী আগুনে প্ল্যাটফর্মে অন্তত ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
প্রায় চার ঘণ্টা ধরে টানাপোড়েন
ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয় সম্প্রতি বাঁকুড়ার জুতোর গুদাম (Bankura News)। সেই আগুন নেভাতে কার্যত হিমশিম খায় দমকল বাহিনী। সন্ধে থেকে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে টানাপোড়েনের পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছিল দমকল বাহিনী। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মধ্যরাত পার হয়ে যায়। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয় ওই ঘটনায়।
আরও পড়ুন, কেন রিষড়ায় দফায় দফায় অশান্তি ? রাজ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি
ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল মথুরাপুরেরও
মার্চ মাসে, গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের ঘোড়াদল বাজারে বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল ৬টি দোকান।রাত আড়াইটে নাগাদ ঘোড়াদল বাজারের একটি দোকানে প্রথমে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছিল। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল পরপর কয়েকটি দোকানে। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, জয়নগর থেকে দমকল পৌঁছতে একঘণ্টার বেশি সময় নেয়। দমকলের একটি ইঞ্জিনের ঘণ্টাচারেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও, সম্পূর্ণ পুড়ে যায় ৬টি দোকান।