সঞ্চয়ন মিত্র, পার্থপ্রতিম ঘোষ, হিন্দোল দে, কলকাতা : কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে শহরের প্রাণ কেন্দ্র। ক্রমেই গ্রাস করছে লেলিহান শিখা। রাজভবনের কাছে শরাফ হাউসে ভয়াবহ আগুন। ভেঙে পড়েছে ছাদের একাংশ। একের পর এক এসি-তে বিস্ফোরণ। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তদারকি করলেন রাজ্যপাল ( C V Ananda Bose ) । আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মুখ্য়মন্ত্রী ( Mamata Banerjee ) ।
গোটা ছাদ জ্বলছে দাউ দাউ করে। একের পর এক এসি-তে ঘটছে বিস্ফোরণ। ভেঙে পড়ছে জানলার কাচ, জ্বলন্ত টুকরো। কালো ধোঁয়া ঢেকে ফেলছে আকাশ! শহরে ফের অগ্নিকাণ্ড। অফিস টাইমে অফিস পাড়ায় ভয়াবহ আগুন।
বুধবার সকাল ১০.৩০টা নাগাদ রাজভবনের কাছে শরাফ হাউসে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বাড়ির চারতলার ছাদের একাংশ। রাজভবন থেকে রাস্তায় বাইরে বেরিয়ে আসেন রাজ্যপাল। আগুন নেভানোর কাজে তদারকি করেন তিনি। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ১৪টি ইঞ্জিন। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। আনা হয় হাইড্রলিক ল্যাডার। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মুখ্য়মন্ত্রী। আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। সূত্রের খবর, ছাদের ওপর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ক্যান্টিন ছাড়াও ১১টি অফিস ছিল। স্থানীয়দের দাবি, ক্যান্টিন থেকেই আগুন ছড়ায়।
ভস্মীভূত হয়ে যায় সবকটি অফিস। ভেঙে পড়ে ছাদের একাংশ। পুড়ে যায় আশেপাশের কয়েকটি গাছও। দমকলের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
অফিস টাইমে রাজভবনের কাছে শরাফ হাউসে আগুন ভস্মীভূত হয়ে গেল একাধিক অফিস। এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের দাবি, শরাফ হাউসে একাধিক বেআইনি নির্মাণ রয়েছে। পুরসভার কাছে জানিয়েও কাজ হয়নি। কাউন্সিলর কিছুই জানাননি বলে পাল্টা দাবি করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
সম্প্রতি কলকাতা সহ একাধিক জেলায় ঘটছে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড। গত ১৮ এপ্রিল বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় হাওড়ার চেঙ্গাইল স্টেশন লাগোয়া লাডলো মিল মার্কেট। তার আগে তিলজলায় একটি ছাপাখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বাবা ও ছেলের। আহত হয় আর এক ছেলে। এপ্রিলেই গড়িয়ার ব্রহ্মপুর বটতলা বাজারের কাছে কাঠের গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের আবাসন ও নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ে। ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সন্তোষপুর স্টেশন লাগোয়া ৩০টি অস্থায়ী দোকান।
আরও পড়ুন :