রাজা চট্টোপাধ্যায়,  জলপাইগুড়ি:  মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৩ জনের। বাইক ও গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কায় ঝরে গেল তিন জনের প্রাণ। দুই বাইক আরোহী ও গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।


 বুধবার সন্ধেয় এই  ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির  ভুসকাডাঙা এলাকায়৷ দুর্ঘটনায় ২ জন মোটর সাইকেল আরোহী সহ ১ জন গাড়ির চালক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২ জনের বাড়ি জলপাইগুড়িতে। বাকি ১ জনের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। যে দুজনের পরিচয় জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন রিকু মোহন্ত (বয়স ২৯)। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ি শক্তিনগর এলাকায়। অন্য যে  বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁর নাম তন্ময় বিশ্বাস (বয়স ২৭)। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ি নিউটাউন পাড়া এলাকায়৷


জানা গিয়েছে, রিকু ও তন্ময় একটি বেসরকারি ফিনান্স কোম্পানিতে কাজ করতেন। এদিন সন্ধে নাগাদ চেংরাবান্ধ্যা থেকে মোটর সাইকেলে চেপে ময়নাগুড়ির দিকে আসছিলেন ২ জন। সেই সময় উল্টোদিক থেকে একটি স্করপিও গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে মটর সাইকেলে। এরপর স্করপিওটি রাস্তার ধারে  গাছে  ধাক্কা মারে। এরফলে স্করপিওর চালকেরও মৃত্যু হয়। এরপর ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ ও দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ গুলি উদ্ধার করে।


উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই  বাজার সেরে বাড়ি ফেরার পথে টোটো ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক স্কুল শিক্ষকের। আহত হন আরও দুইজন। মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনা ঘটে শনিবার রাতে মালদা জেলার বাগবাড়ি চন্দন পার্ক এলাকায়। মৃত স্কুল শিক্ষকের নাম পুলক মিশ্র। বয়স ৫৪ বছর। আহত হন তাঁর শ্যালক অমিত তিওয়ারি। তাঁর বয়স ৩৫ বছর। এছাড়াও আহত হন টোটো চালক। আহত দুজনেই  মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল যে,  স্কুলশিক্ষক পুলক মিশ্র ও তার শ্যালক অমিত তেওয়ারি শনিবার রাতে মোথাবাড়ি থানার গীতা মোড় দুর্লভপুর বালুচর এলাকা থেকে বাইকে করে মালদা শহরে এসেছিলেন রাখি বন্ধনের বাজার করতে। বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে চন্দন পার্ক এলাকায় তাঁদের বাইকের সঙ্গে টোটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে তিনজন গুরুতর আহত হন। রাতে তাঁদেরকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন ররিবার সকালে মৃত্যু হয় স্কুল শিক্ষকের। তিনি স্থানীয় মোথাবাড়ি উত্তর লক্ষীপুর স্কুলের শিক্ষক বলে জানা গিয়েছে।