সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরি হচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Calcutta Medical College)। ১০০ বছরের পুরনো দুই বিল্ডিং ভেঙে, সেখানে তৈরি হচ্ছে নতুন ভবন। এছাড়াও, হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ (Emergency Department) ভেঙে সেখানে তৈরি হবে ৮তলা মডেল ইমার্জেন্সি।

  



কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হচ্ছে ট্রমা কেয়ার সেন্টার। তার জেরে ভাঙা পড়তে চলেছে শতাব্দী প্রাচীন দুই ভবন। একটি এজরা ও অপরটি শ্যামাচরণ বিল্ডিং। সম্প্রতি, রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে, মেডিক্যাল কলেজে ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরির সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। 


সূত্রের খবর, শতাব্দী প্রাচীন ভবন ভেঙে ফেলে, সেখানে তৈরি হবে, ১২ তলা ট্রমা কেয়ার সেন্টার। ছাদে তৈরি হবে হেলিপ্যাড। যাতে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স নামানো যায়। ঝাঁ চকচকে নতুন ভবনের জন্য কোপ পড়তে চলেছে এই দুই বিল্ডিংয়ে। 


একটি এজরা ভবন।  ১৮৮৭ সালে, ব্যবসায়ী মোজেল E.D.J. এজরার উদ্যোগে তৈরি হয় এজরা হাসপাতাল। সেখানে প্রথম রোগী ভর্তি হয় ১৮৮৮ সালের ৯ এপ্রিল। ১৩৫ বছরের পুরনো ভবনে বর্তমানে, মনোরোগ ও ইএনটি বিভাগ চলছিল। অপরটি হল শ্যামাচরণ ভবন। তৈরি হয় ১৮৯১সালে। এটিরও বয়স প্রায় ১৩১ বছর। এখানে ছিল চেস্ট মেডিসিন বিভাগ।


আরও খবর, হাসপাতাল থাকলেও নেই চিকিৎসক, নেই পরিষেবা! প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে শুরু তরজা


দেড়শো ছুঁতে চলা এই দুই ভবনই ভাঙা পড়তে চলেছে। এছাড়াও, ভাঙা পড়তে চলেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সি ভবনটিও। ৩ তলা ভবন ভেঙে সেখানে তৈরি হবে ৮তলা মডেল ইমার্জেন্সি। এর আগে, চোখের চিকিত্‍সার উত্‍কর্ষ কেন্দ্র, রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজিকে ভেঙে, সেখানে ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরির কথা বলেন নির্মল মাজি। তা ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। চিকিত্‍সকদের একাংশের প্রতিবাদে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়।  


হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, স্থান নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যভবনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তৈরি হতে আড়াই বছর লাগবে। কত খরচ হবে, তা স্বাস্থ্য ভবন দেখছে। PWD-র সঙ্গে কথা চলছে। বাড়ি দুটি শতাব্দী প্রাচীন হলেও, হেরিটেজ নয়। হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার সেন্টারের জন্য বিকল্প আর জায়গা নেই।


বর্তমানে কলকাতায় ২ জায়গায় রয়েছে ট্রমা কেয়ার সেন্টার। SSKM ও RG কর মেডিক্যাল কলেজে। SSKM-এ হেলিপ্যাড তৈরির কথা ভাবা হয়। কিন্তু, কাছে ফোর্ট উইলিয়াম থাকায়, তাদের অনুমতি না পাওয়ায়, সেই ভাবনা আটকে যায়।