মুম্বই: প্লে অফে চলে গিয়েছে দল। কিন্তু প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। প্রতি ম্যাচেই নিজেদের সেরাটা দিতে হবে। সেই বার্তাই দলের সতীর্থদের আগের ম্যাচের শেষে দিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। তারই প্রতিফলন দেখা গেল মাঠে। চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রিত বোলিং শামি, রসিদ খানদের। যার সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৩৩ রানেই আটকে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। ২ উইকেট নিলেন মহম্মদ শামি। 


১৩৪ রানে আটকে গেল চেন্নাই


প্লে অফের সম্ভাবনা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তবুও বাকি ২ ম্যাচে জিতে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাইছে চেন্নাই সুপার কিংস। এদিন গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে খুব একটা কাজে লাগাতে পারলেন না চেন্নাইয়ের ব্য়াটাররা। একমাত্র ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড ছাড়া কেউই রান পেলেন না সেভাবে। ওপেনিংয়ে নেমে ফর্মে থাকা কনওয়ে ৫ রান করে শামির বলে ফিরে গেলেন। মঈন আলিকে নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিলেন রুতুরাজ। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। তবে উল্টোদিকে যোগ্য সঙ্গ পাননি। ৪৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ব্য়াটার। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান রুতুরাজ। উল্টোদিকে যদিও পরপর উইকেট পরতে থাকেন। ২১ রান করে আউট হন মঈন আলি। জগদীশান ৩৩ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। নিজের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানই বোর্ডে তুলতে সক্ষম হয় চেন্নাই সুপার কিংস। 


গুজরাত বোলারদের মধ্যে শামি ২ উইকেট পান। ১টি করে উইকেট নেন রশিদ খান, আলজারি জোসেফ ও সাই কিশোর। এর আগেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মতো চেন্নাই সুপার কিংসও আইপিএলের প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে।