সৌভিক মজুমদার ও বিজেন্দ্র সিংহ, কলকাতা ও দিল্লি: মেডিক্যালে ভর্তি দুর্নীতি মামলা (medical reserved seat admission corruption case) কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে সরানো হল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। নির্দেশ প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চের। ৩ সপ্তাহ পরে ফের শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চ- সব জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।
রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, 'সংরক্ষিত আসনের আরও কিছু পড়ুয়া সিবিআই চেয়ে মামলা করতে চায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এখনও এই ধরনের মামলা গ্রহণ করছেন। ভবিষ্যতে তিনি আবারও করতে পারেন।' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, 'রোজ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এখনও এই ধরনের মন্তব্য করছেন।'
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, 'কার বিচার্য বিষয় কী হবে সেটা ঠিক করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিনি হাইকোর্টের প্রশাসনিক প্রধান, নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।'
এই মামলার কপিগুলি একে অপরের মধ্যে আদান-প্রদানের পর্ব সম্পন্ন হলে তারপর ৩ সপ্তাহ পরে শুনানি হবে।
সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সংরক্ষিত আসনে ভর্তির জন্য ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ, এই নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এখন সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে সরিয়ে নেওয়া হল। ওই অভিযোগে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার একটা স্টেটাস রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল সুপ্রিম কোর্টের তরফে। 'অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি এফআইআর করা হয়েছে, ১৪টি শংসাপত্র বাতিল করা হয়েছে', সর্বোচ্চ আদালতে জানালেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে বলা হয়েছে, বারবার অভিষেকের নাম উঠে এসেছে তাই তাঁদের শুনানির সুযোগ দেওয়া হোক। এই উত্তরে প্রধান বিচারপতি বলেছেন ফাইল করতে, সেসব নথি খতিয়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে কী হয়েছে?
মেডিক্যালে ভর্তি দুর্নীতি মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি সৌমেন সেনের সংঘাত। মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গল ও ডিভিশন বেঞ্চের সমস্ত বিচারপ্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। স্থগিত রাখা হয় সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশও। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সিবিআই কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না, নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের আবেদনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সলিসিটর জেনারেল। সব পক্ষকে নোটিস জারি করে সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা করে রাজ্য। মামলায় যুক্ত হন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন: উড়ানের পরই যাত্রীসমেত নিখোঁজ, ৩৭ বছর পর ফের আবির্ভাব? কল্পনা ও বাস্তব ঘেঁটে দেয় এই বিমান