সৌমেন চক্রবর্তী, মেদিনীপুর : নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে (TMC Candidate) হারিয়েছেন। জয়ের পর এবার তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়ার (TMC MLA June Malia) সঙ্গে দেখা যাচ্ছে একের পর এক কর্মসূচিতে। নির্দল কাউন্সিলর অর্পিতা রায় নায়েককে বিধায়কের সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করতে দেখা যাচ্ছে। আর এনিয়েই এবার মেদিনীপুর শহরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই ইস্যুতে শাসকদলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। যদিও বিধায়ক জুন মালিয়ার দাবি, সরকারি কর্মসূচি ছিল। তাই ডাকা হয়েছিল।


পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা সামনে আসতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। অনেকেই প্রতিবাদে পথে নামেন। একইভাবে মেদিনীপুর শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রথম পুর প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল প্রাক্তন কাউন্সিলর বিশ্বেশ্বর নায়েকের স্ত্রী অর্পিতা রায় নায়েকের। কিন্তু, দ্বিতীয় তালিকায় তাঁর বদলে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয় সংঘমিত্রা পালকে। এর পরেই নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেন অর্পিতা। নির্দল হিসাবে এই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ীও হন তিনি। 


এদিকে অর্পিতা নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় প্রার্থীর স্বামী বিশ্বেশ্বর নায়েককে তৃণমূলের তরফে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করা হয়। জয়ী হওয়ার পর অবশ্য বর্তমানে একাধিক কর্মসূচিতে বিধায়কের সাথেই দেখা যাচ্ছে এই নির্দল কাউন্সিলারকে।


আরও পড়ুন ; বিরোধ ভুলে হাসিমুখে পাশাপাশি জুন-দিলীপ, 'মন বড় করুন', বার্তা বিজেপি সাংসদের


গত ২০ মার্চ মেদিনীপুরের একটি হোটেলে বিধায়কের দেওয়া প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানেও বিধায়কের একদম পাশেই দেখা গিয়েছিল এই কাউন্সিলরকে। গত ২৭ তারিখে মেদিনীপুর শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অনুষ্ঠানে বিধায়কের সাথেই মঞ্চে দেখা যায় কাউন্সিলরকে। আর এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 


উল্লেখ্য, যাঁরা নির্দল হিসেবে দলীয় প্রার্থীকে হারিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তৃণমূল কড়া অবস্থান নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে অর্পিতা এবং বিধায়ক জুন মালিয়া দুজনেরই বক্তব্য, সরকারি প্রোগ্রাম ছিল। তাই ডাক পেয়ে উপস্থিত হওয়া।


এই ইস্যুতে বিজেপির খোঁচা, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফসল। এক গোষ্ঠী তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন করেছিল, আরেক গোষ্ঠী নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করে জিতিয়ে এনেছে। এখন মানুষকে বোকা বানাচ্ছে।


এই ঘটনা নিয়ে অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল। জেলা তৃণমূল সভাপতির বক্তব্য, তাঁর (অর্পিতা রায় নায়েক) স্বামী এখনও সাসপেন্ড রয়েছেন। এই কাউন্সিলর কেন ঘুরছেন কার সাথে ঘুরছেন জানি না। যার সাথে ঘুরছেন, তিনিই বলতে পারবেন।