কলকাতা : কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আহত বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে (Manoj Tigga) ফেরানোর অভিযোগ। অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিল্লিতে।


রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে আজ বিধানসভায় কার্যত রক্তারক্তি হয়ে যায়। অধিবেশন কক্ষেই তৃণমূল-বিজেপি বিধায়কদের হাতাহাতি হয়। নাক ফাটে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। এসএসকেএমে ভর্তি তিনি। পাল্টা হামলার অভিযোগ তোলে বিজেপি। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপির ৫ বিধায়ককে। ধস্তাধস্তি, হাতাহাতিতে জামা ছিঁড়ে যায় বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার । তাঁকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


কিন্তু তিনি বলেন, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর প্রশাসনের চাপ রয়েছে। আমার ফ্র্যাকচার হয়েছে। এখানে রাখা উচিত ছিল। জোরজবরদস্তিতে থাকা যাচ্ছে না। এইমস কল্যাণীতে যাব। এখানে এক্স রে হয়েছে। তাতে জানা গেছে, বাঁদিকে পাঁজরে চিড় ধরেছে। ভর্তি হওয়ার আগেই ডিসচার্জ বলে দিয়েছে। হয়তো সরকারপক্ষের চাপ রয়েছে। সেইজন্য হয়তো রাখেনি।"


আরও পড়ুন ; রামপুরহাট নিয়ে বিধানসভায় বিজেপি-তৃণমূল বিধায়কদের হাতাহাতি, বিধানসভা থেকে ৫ বিজেপি বিধায়ক সাসপেন্ড


এনিয়ে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, "এখানে পুলিশ প্রশাসন আছে। তারা এই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়েছে যে এদের ছেড়ে দেওয়া হোক। অন্যান্য বিধায়করা অতটা অসুস্থ নন। যেটুকু অসুস্থ ছিলেন, তাঁদের চিকিৎসা হয়ে গেছে। তাঁদের আমরা বাড়িই নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু, যিনি (মনোজ টিগ্গা) অসুস্থ, যাঁর পাঁজরে চিড় ধরেছে তাঁকে পর্যন্ত চিকিৎসকদের চাপ দিয়ে বলানো হয়েছে, একে ছেড়ে দিতে হবে। সেইজন্য আমরা এইসব চিকিৎসকের ওপর ভরসা না করে তাঁকে আজই কল্যাণী এইমসে ভর্তি করছি। কাল দিল্লি নিয়ে চলে যাব।"


অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "এই হাসপাতালকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে। এই অধঃপতন কোনওদিন পশ্চিমবঙ্গে হয়নি। এটি একটা আন্তর্জাতিক হেল্থ অর্গানাইজেশন। আজ তারা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাল। আমি রাজ্য সভাপতিকে বলেছি, এবিষয়ে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানানো দরকার। ওঁর (মনোজ টিগ্গা) বয়স প্রায় ৫০। পাঁজরে ফ্র্যাকচার আছে। এখানকার এক্স রে রিপোর্টই বলছে চিড় আছে। আমরা কল্যাণীতে এমআরআই এবং স্ক্যান করিয়ে সকালের ফ্লাইটেই দিল্লি এইমসে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাব। আমরা নিয়ে যাচ্ছি এই কারণে যে, এখানে বিধাননগরের পুলিশ পাঠিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের তাড়াতাড়ি ভাগাতে বলছেন। দার্জিলিঙের পাহাড়ে আছেন আকাশরানি। ওখানে শৈলশহরে আছেন ঠান্ডায়। তিনি ফোন করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছেন।"