সৌমেন চক্রবর্তী, মেদিনীপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর) : দুয়ারে সরকারের ধাঁচে ২৬ নভেম্বর থেকে দুয়ারে পুরসভা চালু হচ্ছে মেদিনীপুরে। মাসে একদিন করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাবেন পুর আধিকারিকরা। শুনবেন সমস্যার কথা। ভোট না করিয়ে মানুষকে বোকা বানাতে কর্মসূচি, কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।


দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ব্যাপক সাফল্যের দাবি করেছে রাজ্য সরকার। সামনেই পুরভোট। তার আগে সেই মডেলকে কাজে লাগিয়ে দুয়ারে পুরসভা চালু হচ্ছে মেদিনীপুরে।


মেদিনীপুর পুরসভা সূত্রে খবর, চলতি মাসের ২৬ তারিখ থেকে দুয়ারে পুরসভা কর্মসূচি শুরু হবে। মাসে একদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে পৌঁছে যাবেন পুর প্রতিনিধিরা। ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সমস্যার কথা শুনে, সেখানেই তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।


মেদিনীপুরের পুর প্রশাসক ও তৃণমূল নেতা সৌমেন খান বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে একদিন করে পুরসভার এক প্রতিনিধিদল হাজির হবে। যেই প্রতিনিধিদলে থাকবেন পুরসভার আধিকারিকরা। এই প্রতিনিধিদল প্রতিটি ওয়ার্ডে যাবে, সেই ওয়ার্ডের সমস্যাগুলি শুনবেন এবং সেগুলোর সমাধান করার চেষ্টা করবেন।


মেদিনীপুর পুরসভার এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। মেদিনীপুরে বিজেপির সভাপতি সোমেন তিওয়ারি বলেন, এগুলো লোক দেখানো। ভোট না করে নাটক।


পশ্চিম মেদিনীপুর কংগ্রেসের সভাপতি সমীর রায় বলেন, সময়ে পুরভোট না করে মানুষকে বোকা বানাতে এই ধরনের কাজ করছে তৃণমূল।


পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। সব মিলিয়ে পুরভোটের আগে মেদিনীপুর পুরসভার নতুন কর্মসূচি ঘিরে তুঙ্গে তরজা। 


চলতি মাসের শুরুতেই রাজ্যে ফের দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটের মাস ছয়েক আগেই 'দুয়ারে সরকার' (Duare Sarkar) নামক কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো ১৬ অগাস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে দুয়ারে সরকার শিবিরও করা হয়। পুজোর আগে বন্ধ হয়ে যায় এই প্রকল্পটি। যদিও এবার ফের রাজ্যে এই দুয়ারে সরকার চালু হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, কালীপুজোর উদ্বোধনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, "১৬ নভেম্বর থেকে আবার শুরু হবে দুয়ারে সরকার"। এর আগে ২৫ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশাসনিক বৈঠকে বলতে শোনা যায় যে, "উপনির্বাচনের জেরে দুটি এলাকায় দুয়ারে সরকার পুরো করতে পারিনি। কালীপুজোর পর ফের শুরু হবে।"