সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর : ভয়ঙ্কর কাণ্ড। এমন ভয়াবহ ঘটনা যে কেউ ঘটাতেও পারেন , তা কল্পনারও অতীত। মুত্রথলিতে আস্ত একটা সেফটিপিন ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন এক ব্যক্তি। তারপরই অসহ্য যন্ত্রণা শুরু। তবুও তিনি চিকিৎসকদের জানাননি তাঁর কীর্তির কথা। অবশেষে এক্সরে রিপোর্ট দেখে চমকে যান চিকিৎসকরা। অপারেশন ছাড়া কোনও গতি ছিল না। কিন্তু সে অপারেশনও কিন্তু যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ।
মূত্রথলিতে আটকে সেফটিপিন
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গুড়গুড়িপাল থানার মনিদহ এলাকার বাসিন্দা রোগী। বছর ৫৪ র আশেপাশে। কিছুদিন ধরেই পুরুষাঙ্গে তীব্র ব্যথা অনুভব করছিলেন। সাহায্য চান স্থানীয় দেপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসককের। চিকিৎসকরা তাঁকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই মতো দিন কয়েক আগে যান মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা বেশ কিছু পরীক্ষা করাতে দেন। কিন্তু এক্সরে রিপোর্ট দেখেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় চিকিৎসকদের। দেখা যায় পুরুষাঙ্গের মধ্যে মূত্রথলিতে আটকে রয়েছে গোটা একটা সেফটিপিন! স্বভাবতই সার্জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রস্রাব না হওয়ায় সেফটিপিন দিয়ে খোঁচা
মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে গত বুধবার হয় ওপেন সার্জারি। আপাতত রোগী সুস্থ বলেই জানা যায়। সূত্রের খবর, ওই রোগী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ঠিকমতো প্রস্রাব না হওয়ায় সেফটিপিন দিয়ে খোঁচাতে গিয়েছিলেন মূত্রনালী। তখনই ভেতরে ঢুকে যায় সেফটিপিন। যদিও ঘটনা সত্য কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
চিকিৎসকের যা জানালেন
চিকিৎসক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, "সেফটিপিন বার করতে ওপেন সার্জারি করতে হয়েছে, আমরা সফলও হয়েছি। এখন পেশেন্ট ভালো আছেন। সোমবার ছেড়ে দেওয়া হবে। সাধারণত এরকম হয় না। ওই পজিশান অবধি চলে যাওয়াটা ব্যতিক্রমী ঘটনা। কিভাবে গেল সেটা বলা মুশকিল, অনেক সময় গোপনীয়তার জন্য পেশেন্ট সত্য কথা বলেও না। যাই হোক পেশেন্ট সুস্থ আছে, এটাই বড় কথা।"
তবে কারণ যাই হোক না কেন, পরিণতি হতে পারত ভয়ঙ্কর, মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন সফল হয়েছে, আনন্দিত হাসপাতাল।
আরও পড়ুন: