অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্টগামী (New Garia- Airport) মেট্রোর কাজের জন্য জমি লাগবে RVNL-এর। কিন্তু, সেই জমি না মেলায় রুবি থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত তিন জায়গায় কাজ বাকি রয়েছে। নবান্নের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর, প্রয়োজনীয় জমি তুলে দেওয়া হবে RBNL-এর হাতে।


বৈঠকে কাটল জট: নবান্নর বৈঠকে কাটল নির্মীয়মাণ নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোর জমিজট। নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রো রুটে, নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রোর কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। মিলেছে কমিশনার ওফ রেলওয়ে সেফটির ছাড়পত্র। নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মেট্রোর এই লাইনকে বলা হচ্ছে অরেঞ্জ লাইন। এই অরেঞ্জ লাইনের দৈর্ঘ্য ৩২ কিলোমিটার। তার মধ্য়ে ৫ দশমিক ৪ কিলোমিটারে মেট্রো চালুর জন্য অনুমতি মিলেছে। কিন্তু, রুবি থেকে এয়ারপোর্ট যাওয়ার পথে তিন জায়গায় কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।


ভিআইপি বাজার, মেট্রো পলিটন, এবং চিংড়িঘাটা মোড়ের কাছে মেট্রোর কাজের জন্য জমির প্রয়োজন রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড বা RVNL-এর। এই জমির জন্য ব্যস্ত বাইপাসের কোথাও গাড়ি চালাচল বন্ধ করতে হবে, কোথাও আবার গাড়িকে অন্যপথে ঘুরিয়ে দিতে হবে। এতদিন সেই জমি না মেলায় কোথাও মেট্রোর পিলার তৈরি করা যায়নি। কোথাও আবার, পিলার তৈরি হলেও, যার উপর দিয়ে মেট্রো যাবে, সেই গার্ডার বসানো হয়নি। জট কাটাতে শুক্রবার নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নির্মাণকারী সংস্থা RVNL, কলকাতা পুলিশ, কলকাতা পুরসভা এবং সিইএসসির আধিকারিকরা। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ট্রাফিক সার্ভে করা হবে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর জমি তুলে দেওয়া হবে RVNL-এর হাতে।


বউবাজারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর টানেলে কংক্রিট বেস স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ করল KMRCL। বউবাজারে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ চলার সময় বিপর্যয় ঘটে। ধসে পড়ে বাড়ি। একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরে।এই পরিস্থিতিতে মেট্রোর টানেলে কংক্রিট বেস স্ল্যাব তৈরির জন্য সাড়ে ৪ মিটার অংশের কাজ বাকি ছিল। সেই কাজই নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে KMRCL। সূত্রের খবর, এই কংক্রিট বেডের ওপর লাইন পাতা সম্ভব হলে, ট্রায়াল রানের জন্য এই অংশের ওপর দিয়ে রেক নিয়ে যাওয়া যাবে ধর্মতলা থেকে হাওড়া পর্যন্ত। 


আরও পড়ুন: Shantanu Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর আরও সম্পত্তির হদিশ, মিলল বাড়ির খোঁজ