ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (calcutta medical college) জট (chaos) কাটাতে স্বাস্থ্য ভবনে (health department) বৈঠক (meeting) হওয়ার কথা ছিল তা অনিশ্চিত (uncertain)। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে পড়ুয়াদের আমন্ত্রণ জানানোর ব্যাপারে কোনও লিখিত নির্দেশ আসেনি। নির্দেশ আসেনি স্বাস্থ্য ভবনের থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে, খবর সূত্রে। এ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন কলেজ কর্তৃপক্ষ, খবর সূত্রে। আমন্ত্রণ পেলে তবেই বৈঠকে যাওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত, জানিয়ে দিয়েছেন পড়ুয়ারা। এর মধ্যেই ১০৮ ঘণ্টা পার করেছে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের অনশন। আজ নাগরিক মিছিলেরও ডাক দেওয়া হয়েছে তাঁদের তরফে।


কী পরিস্থিতি?
সূত্রের খবর, কলেজ কর্তৃপক্ষ আমন্ত্রণ পত্র পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যভবন ও স্বাস্থ্যসচিবের দফতরে বার বার যোগাযোগ করেছেন। তবে সেখান থেকে এই বিষয়ে কোনও ইতিবাচক সঙ্কেত আসেনি বলে দাবি। এদিকে পড়ুয়ারা আগে থেকেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা আমন্ত্রণ পত্র পেলেই বৈঠকে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করবেন। আজ অধ্যক্ষ ফের যোগাযোগ করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। অনশনকারীদের মধ্যে এক জন এর মধ্যেই আইসিসিইউ-তে। বাকিদের প্রত্যেকের শরীরেই শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কম। গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। অনশনকারীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এদিন। মাপা হয়েছে রক্তচাপও।  


কী দাবিদাওয়া?
আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবিতে এখনও অনড়। তাঁদের বক্তব্য, আগামী ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদের নির্বাচন করাতে হবে। পড়ুয়াদের হেনস্থায় অভিযুক্ত অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। গত ৬ ডিসেম্বর অবস্থান বিক্ষোভের দিন কেন সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি বন্ধ ছিল, সেই 'ষড়যন্ত্রের' জবাব দিতে হবে। এই ৩ দফা দাবিতে কলকাতা মেডিক্যালে অনির্দষ্টকালের অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৫ জন হবু চিকিৎসক। চিকিৎসক অধ্যাপক দেবাশিস বসু অনশনমঞ্চে গেলে তাঁর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাদানুবাদ হয়। পড়ুয়ারা প্রশ্ন করেন, ৬ ডিসেম্বর আন্দোলনের সময় হাসপাতালের সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি বন্ধ রাখার নির্দেশ কি আপনি দিয়েছিলেন? উত্তরে চিকিৎসক অধ্যাপক জানান এ বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই। কেন সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি বন্ধ রাখা হয়েছিল, তার তদন্ত চলছে। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদ ভোট করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিকে এর মধ্যেই অনশনকারীদের সঙ্গে এসে কথা বলে গিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁর চেম্বারে এসে কথা বলুন পড়ুয়ারা। কেন নির্দিষ্ট তারিখে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্ভব নয়, অন্য কোন তারিখে তা করা যাবে, সেটা সেই আলোচনাতেই স্পষ্ট হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন স্বাস্থ্যসচিব। অন্য দিকে, পড়ুয়ারা চাইছেন কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে সুনির্দিষ্ট কোনও আমন্ত্রণ আসুক যেখানে তাঁদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা লেখা থাকবে। সেটা পেলেই এই বিষয়ে তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সব মিলিয়ে এখনও ছবিটা খুব আশাব্যঞ্জক নয়। কবে উঠবে অনশন? জানা যাচ্ছে না সে কথাও।


আরও পড়ুন:আজ আর্জেন্তিনা-ক্রোয়েশিয়া প্রথম সেমিফাইনাল, জেনে নিন এই পাঁচটি বিষয়