প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: ভ্যাকসিনের টোকেন বিভ্রান্তি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার মেজিয়ায়। বিভ্রান্তির জেরে ভ্যাকসিন না নিয়ে ফিরতে হচ্ছে মেজিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে। সামাজিক দূরত্ব শিকেয় উঠেছে। সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় টিকা নিতে উপচে পড়া ভিড় মেজিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিন্তু টোকেন বিভ্রান্তিতে ভ্যাকসিন পেলেন না অনেকেই। প্রথম টিকা নেওয়ার সময় মেজিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে অনেককেই দেওয়া হয় কো ভ্যাকসিনের টোকেন। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের  মিনিস্ট্রি অফ হেলথ এন্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সাইট থেকে ডাউনলোড হচ্ছে কোভিড সিল্ডঃ এর সার্টিফিকেট। তাহলে প্রশ্ন উঠছে হাসপাতাল থেকে দেওয়া টোকেন আর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের ইশু করা ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড হওয়া সার্টিফিকেটের সঠিক নিশ্চয়তা নিয়ে। আর এর ফলে টিকা নিতে আসা মেজিয়ার জনসাধারণ দিশেহারা। অভিযোগ  টোকেন বিভ্রান্তির জেরে অনেককেই টিকা না নিয়েই ফিরতে হচ্ছে বাড়িতে। সামাজিক দূরত্ব নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। গাদাগাদি ভিড়, মুখে না আছে মাক্স না আছে সামাজিক দূরত্বের বালাই।


ভ্যাকসিন গ্রাহক মলয় ধাড়া বলেন, 'আমি কো ভ্যাকসিন নিয়েছিলাম। আমার টোকেনও কো ভ্যাকসিনের। কিন্তু সার্টিফিকেট যখন দেখছি, সেখানে কোভিশিল্ড দেখাচ্ছে। আমি তো বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছি। এভাবে কোন ভ্যাকসিন আমার নেওয়া উচিত, কিছুই বুঝতে পারছি না।' তবে মেজিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ড: রনজিৎ মাহান্তি বলেন, 'সার্টিফিকেটে যা দেখাচ্ছে তাই হবে। এখানে বিভ্রান্তির কোনও জায়গা নেই। সবাই নিশ্চিত থাকুক।'


এখনও রাজ্যের নানা প্রান্তে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে হয়রানি অব্যাহত। কিছুদিন আগেই টিকা না পেয়ে উত্তপ্ত হয়েছে বালুরঘাট হাসপাতাল চত্বর। ভ্যাকসিন নিতে এসে না পেয়ে বালুরঘাট হাসপাতালের সামনে ৫১২ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন টিকা প্রাপকরা। রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বালুরঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অবরোধ শুরু হতেই তা যদিও তুলে দেয় পুলিশ।


বিক্ষোভকারীদের ঠিক কী অভিযোগ? তাঁদের দাবি, করোনার টিকা নেওয়ার জন্য ভোরবেলা থেকে বালুরঘাট হাসপাতালের ভ্যাকসিন সেন্টারের সামনে লাইন দেন তাঁরা। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পর শেষ মুহূর্তে এসে তাঁদের জানানো হয় যে তাঁরা আর টিকা পাবেন না।