অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : পুজোয় রাতভর, দিনভর ঠাকুর দেখা। কলকাতা চষে ফেলতে সবার ভরসা মেট্রো রেলই। করোনা আবহে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত ছিল মেট্রোরেল পরিষেবা। তাই পুজোয় মেট্রো রেল চলবে কি না তাই নিয় অনেকেরই ভাবনা। 
এবার কলকাতা মেট্রোরেল রাতভর চলবে না। রাজ্য পুজোর কয়েকদিন রাত্রিকালীন করোনা বিধি কিছুটা শিথিল করলেও সারারাত মেট্রোরেল চলবে না। 
সপ্তমী , অষ্টমী, নবমী অর্থাৎ ১২, ১৩, ১৪ অক্টোবর সকাল ১০ থেকে রাত ১১টা অবধি মেট্রো চলবে। প্রান্তিক স্টেশনগুলি থেকে প্রথম ও শেষ ট্রেন ছাড়বে যথাক্রমে সকাল ১০ টা ও রাত ১১টায়। সন্ধেবেলা ৬ মিনিট অন্তর চলবে মেট্রো। 


 করোনাকালে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল মেট্রোরেল পরিষেববা। সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই, আস্তে আস্তে চালু হয় পরিষেবা। আংশিক শিথিল হয় করোনা বিধি। অগাস্ট মাসের ১১ তারিখে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বাড়ানো হয় মেট্রো। ২২৮টি মেট্রো চালু হয়। অফিস টাইমে নিত্যযাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে দু’টি ট্রেনের ব্যবধান সাত মিনিট থেকে কমিয়ে পাঁচ মিনিট করা হয় ।  তবে মেট্রো পরিষেবার সময়সীমায় কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। সকাল সাড়ে ৭টায় কবি সুভাষ অর্থাৎ নিউ গড়িয়া থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত চলছে প্রথম মেট্রো। দক্ষিণেশ্বর থেকে নিউ গড়িয়া ফেরার শেষ মেট্রো ছাড়ছে রাত ৮ টায়। 

সকলেরই উৎকণ্ঠা ছিল, পুজোয় মেট্রোরেল চলবে কি না তা নিয়ে। করোনা আবহে শারদ উৎসবেও এবার নানা বিধিনিষেধ লাগু করা হচ্ছে। যদিও ওই কয়েকদিন নৈশ বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তাই মানুষজন রাতে ঠাকুর দেখতে বেরোতেই পারেন। তবে অতীতের মতো এখনও সারারাত মেট্রোরেল চলবে না পুজোয়। 

গতবারের মতো এবারও দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে ঢুকে প্রতিমা দর্শন করা যাবে না। মণ্ডপে দর্শকদের জন্য নো এন্ট্রি। আজ কলকাতা হাইকোর্টে পুজোয় বিধিনিষেধ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, গতবছর যে বিধিনিষেধ ছিল, তা নিয়ে রাজ্যের কোনও আপত্তি আছে কি না? তখন রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, তাদের আপত্তি নেই। রাজ্যের সম্মতির পর হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়,  করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে এবারও পুজো হবে।  সেইমতো এবারও ছোট পুজোর ক্ষেত্রে মণ্ডপের ৫ মিটার দূরে তৈরি করতে হবে ব্যারিকেড। বড় পুজো কমিটিগুলিকে ব্যারিকড তৈরি করতে হবে ১০ মিটার দূরে। সেখান থেকেই দর্শকদের প্রতিমা দর্শন সারতে হবে।  মণ্ডপে পুজো কমিটির কতজন কর্মকর্তা থাকতে পারবেন, তার সংখ্যাও নির্দিষ্ট।