কলকাতা: মেট্রোপলিটনে প্রাক্তন বিমান সেবিকার (Air Hostess) রহস্যমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। বহুতলের নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রাক্তন বিমান সেবিকা দেবপ্রিয়া বিশ্বাসকে। দেহ উদ্ধারের সময়ে, তাঁর হাতে ছিল চাবির গোছা। পরিবার সূত্রে দাবি, দেবপ্রিয়া বিশ্বাস করোনার (Covid 19) আগে কাজ করতেন কাতার এয়ারওয়েজে (Qatar Airways)। কোভিডের সময় তাঁর চাকরি চলে যায়। পরে, ইন্ডিগোতে (Indigo) চাকরি পান তিনি কিন্তু, ওজন বেড়ে যাওয়ায়, আপাতত ছুটিতে ছিলেন। এর মধ্যেই এ দিন বিকালে, দিদির ফ্ল্যাটের নিচ থেকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে, পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, দুর্ঘটনা নাকি, আত্মহত্যা? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের দাবি, প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।


লেখকের অস্বাভাবিক মৃত্যু: চলতি সপ্তাহেই 'একেনবাবু' (Ekenbabu) উপন্যাসের লেখক সুজন দাশগুপ্তের (Sujan Dasgupta Death) অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ইএম বাইপাসের (Kolkata EM Bypass) ধারের বহুতল আবাসন থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। ফ্ল্যাটে তিনি একাই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বুধবার সার্ভে পার্ক থানার পুলিশের কাছে খবর পৌঁছয়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তার পর দরজা ভেঙে, ফ্ল্যাট থেকে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। 


কলকাতার এএম বাইপাসের ধারে 'উদিতা অ্যাপার্টমেন্ট' থেকে বুধবার সকালে সুজনবাবুর দেহ উদ্ধার হয়। এ দিন সকালে বাড়ির গৃহ সহায়িকা কাজে আসেন সুজনবাবুর বাড়িতে। তিনি দেখেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বেশ খানিক ক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাননি তিনি। এর পর নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে আনেন তিনি। কিন্তু তাঁরাও ডেকে, দরজা ধাক্কা দিয়ে সাড়া পাননি ভিতর থেকে। 


এর পর সুজনবাবুর এক অত্মীয়কে খবর পাঠানো হয়। তার পর খবর দেওয়া হয় সার্ভে পার্ক থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢোকেন। তাতে দেখা যায়, শয়নকক্ষে, অ্যাটাচড টয়লেটের সামনে পড়ে রয়েছে তাঁর নিথর দেহ। বাড়িতে সুজনবাবু একাই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সুজনবাবুর স্ত্রী শান্তিনিকেতনে রয়েছেন। মেয়ে রয়েছেন বিদেশে। তিনিও লেখিকা।  তাঁদের কাছে খবর পৌঁছেছে। পুলিশ আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছে।


আরও পড়ুন: Sujan Chakraborty: 'মাথাগুলো ধরা হবে কবে ?', নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তলের গ্রেফতারিতে প্রশ্ন সুজনের