বিশ্বজিৎ দাস, খড়গপুরঃ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ব্যাপারে এবার রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। খড়্গপুরের বগদা এলাকায় চা চক্রে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, 'শেখাওয়াতজি ভোটের সময় দুমাস ধরে ছিলেন এখানে। তাদের যদি সমাধানের ইচ্ছে থাকতো শেখাওয়াতজিয়ের সাথে দেখা করতে পারতেন। যখন জল উঠে আন্দোলন হয়, লেখালিখি হয় তখন সরকারের মনে পড়ে। দশ বছর ধরে একই রকম ঘটনা চলছে। আবার দেখবেন জল নেমে যাবে, বৃষ্টি থেমে যাবে, বন্যা চলে যাবে আবার সব কিছু চুপচাপ হয়ে যাবে। লোক চেঁচামেচি করছে, তাই দিদি কিছু লোক পাঠিয়ে টিভি মিডিয়াতে দেখিয়ে বলছে আমরা চেষ্টা করছি। সমাধান কি। সিপিএম চৌত্রিশ বছর ছিল। তার আগে কংগ্রেস ত্রিশ বছর ছিল। আপনাদের দশ বছর হয়ে গেল একটা সমস্যার সমাধান করতে পারলেন না। আপনারা ভাবুন কি করবেন। কেন্দ্র সরকার হাত বাড়িয়ে আছে ঠিক করার জন্য।'
মেদিনীপুরের সাংসদ আরও বলেন, 'দু'বছর ধরে যে ধরনের কোভিড পরিস্থিতি চলছে সাধারণ অসুখেরও চিকিৎসা হচ্ছে না। অনেক বয়স্করা সাধারণ চিকিৎসার জন্য মারা গেছেন। সময়মতো চিকিৎসা পাননি বলে। চিন্তা ভাবনা করে বদলি না করে আটকে রাখা উচিত। সেই কাজ করছে না। কাউকে জোর করে বদলি করে দিচ্ছে। তার পক্ষে অসুবিধা হচ্ছে। ডাক্তার টিচার এরা সাধারণ মানুষকে নিয়ে কাজ করেন। সেই জন্য তাঁদের বদলি বা তাঁদের মানসিকতা, তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা অবশ্যই ভাবা উচিত।'
রাজ্য সরকার এই কঠিন সময় কাজ করছে না বলেও জানান দিলীপবাবু। তিনি বলেন, 'অনেক পৌরসভা দু'বছর তিন বছর হয়ে গেছে। এতগুলো পৌরসভা বন্ধ রেখেছেন। সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। সাধারণ সার্টিফিকেটের জন্য আমার কাছে মানুষ আসছেন। কাউন্সিলরের কাজ নেই, কাউন্সিলর নেই। মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। এই যে লোকাল বডির নির্বাচন পঞ্চায়েত বা পৌরসভা সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেয়ার জন্য। সরকারি টাকার খরচা এনাদের হাত দিয়ে হয়। সেটা না করে তারা আটকে রেখেছেন। উপনির্বাচন চাই। চার মাস হয়েছে তার মধ্যে উপনির্বাচন। সরকার তো চলছে, সরকার তো পড়ে যাচ্ছে না। খালি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হবে। যাইহোক গদি ধরে রাখার জন্য। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তাদের চেষ্টা। মানুষের সমস্যা নিয়ে তাদের চিন্তা নেই। এই ধরনের রাজনীতি ঠিক নয়, আমরা তার বিরোধিতা করি।'