দীপক ঘোষ, কলকাতা:  তৃণমূলে ফিরলেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা তিনি হাতে তুলে নেন। 


এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্বজিৎ জানান, তিনি ভুল বোঝাবুঝিতে দলে ছেড়েছিলেন। বললনে, ‘ভুল বোঝাবুঝিতে দল ছেড়েছিলাম। এলাকার উন্নয়ন করতে হলে বাংলার উন্নয়ন করতে হবে। মমতা-অভিষেক বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। এলাকার মানুষের পাশে থাকতে তৃণমূলে যোগ দিলাম।’


তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় নেত্রী হিসেবে সবাই দেখবেন। রাজ্য বিজেপির মধ্যে গণ্ডগোল, একে অপরকে দোষারোপ করছে। বহিরাগতদের প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হয় না। বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই।’


প্রসঙ্গত, গতকালই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। পাঁচ মাসের মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগ দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক।


তৃণমূলে থাকাকালীন বিষ্ণুপুর পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন তন্ময়। তৃণমূলের বিষ্ণুপুর শহর সভাপতির দায়িত্বও ছিল তাঁর উপর। বিধানসভা ভোটের আগে, মার্চ মাসে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তন্ময় ঘোষ। যোগদানের পরের দিনই, তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। ভোটে জিতেও যান তিনি। 


সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে পুরনো দলে ফিরলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক। বললেন, সারা বাংলা জুড়ে বিজেপির প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি চলছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ। অন্য বিজেপি বিধায়করাও আসুন।


সম্প্রতি বিষ্ণুপুর পুরসভায় দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপধ্যায়কে।  তিনিও ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। 


শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের কয়েকদিনের মধ্যেই বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়কের দলবদলের নেপথ্যে তৃণমূলের চাপসৃষ্টিকেই দায়ী করেছে বিজেপির একাংশ। 


দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, শ্যামা মুখার্জি যে কেসে যুক্ত, সেই কেসে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। বাধ্য করা হয়েছে পার্টি ছাড়তে।


দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তুলেছে বিজেপি। বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে এ’নিয়ে শুনানি চলছে। তার মধ্যেই, আরও দুই বিজেপি বিধায়ক দলবদল করলেন।