মেদিনীপুর: বিধায়ক জুন মালিয়ার (June Malia) এবার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councillor) তথা মেদিনীপুর শহরের (Midnapore) সংখ্যালঘু সেল এর সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন। তার ওয়ার্ডে বিধায়ক গিয়ে দলীয় কর্মসূচিতে না যোগদান করে, 'বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার সাথে গল্প করছেন', বলে অভিযোগ তাঁর।


'দল বিরোধী কাজ মানছি না, মানব না'


শুধু তাই নয় ঘটনার সময় এলাকার তৃণমূল কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলে তড়িঘড়ি জুন মালিয়া এলাকা থেকে বেরিয়ে যান। বেরোনোর সময় গাড়ির পাশ থেকে স্লোগানও ওঠে,'দল বিরোধী কাজ মানছি না, মানব না।' বিধায়ক তাঁকে না জানিয়ে তাঁর ওয়ার্ডে দলীয় কর্মসূচিতে না এসে দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কৃত নেতার কাছে গিয়েছেন বলে জেলা সভাপতির কাছে নালিশও জানিয়েছেন বলে জানালেন মোজাম্মেল।


'দিদি অসুস্থ কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন'


অন্যদিকে, যেই নেতার কাছে যাওয়া নিয়ে অভিযোগ, সেই ডসঃ এরশাদ আলির দাবি, 'আমাদের বাড়ির সামনে এসেছিলেন, দিদির দুত হিসেবে প্রচার করলেন, অভিযোগ শুনলেন। আমিও গেছিলাম সাধারণ মানুষ হিসেবে।' তবে ঘটনা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক দল। বিধায়ক জুন মালিয়া 'কোনও প্রতিক্রিয়া দেবেন না', বলে চলে গেলেও মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, 'দিদি কারওর সঙ্গে কথা বলেননি, এক অসুস্থ কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন।' ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি তৃণমূল চাপানুতোর।


কী বলছে বিজেপি ?


বিজেপির দাবি, এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে দিল মেদিনীপুর শহরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কতটা প্রকট। ওই কাউন্সিলর এমএলএ গোষ্ঠীর লোক নয়, সেই জন্য কাউন্সিলরকে না জানিয়ে বিধায়ক ও চেয়ারম্যান তারই ওয়ার্ডে চা চক্র করতে গিয়েছিলেন। গিয়ে ক্ষোভের মুখে তড়িঘড়ি ঘুরে এসে এখন অসুস্থ সহকর্মীকে দেখতে যাওয়ার গল্প ফাঁদছেন। অভিযোগ পেয়েছি, 'খোঁজ নিয়ে দেখব', জানিয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। তবে 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা' উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাওড়ায় যুব তৃণমূল নেতার বাড়িতে 'হামলা', কাঠগড়ায় কে ?


প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্টীদ্বন্দ্ব


গতবছর খড়গপুর, মেদিনীপুরের পর পূর্ব বর্ধমানের কালনায় প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের গোষ্টীদ্বন্দ্ব। শাসকদলের নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন তৃণমূলেরই (TMC) কাউন্সিলররা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, আবার, এক তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্য়ানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন তাঁরই দলের কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন পুর চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে পুরসভা পরিচালনা করা হচ্ছে।