মেদিনীপুর: খেলার মাঠে রেফারিকে লাথি মারার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক তৃণমূল নেতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুরে। সেই ভাইরাল ভিডিও ঘিরেই চারিদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানের ভাইপোর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ভিডিও ক্লিপ নিজের সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, ''খেলার মাঠে রেফারিকে লাথি, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। পুলিশ প্রশাসনের প্রশ্রয়ে হৃষ্টপুষ্ট বলিষ্ঠ তৃণমূলী সমাজবিরোধী গুণ্ডাদের কীর্তি দেখুন। রেফারিকে সর্বসমক্ষে লাথি মারছে চেয়ারম্যান সৌমেন খানের ভাইপো রাজা খান।'' 

তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে লিখেছেন, ''ভোটের ময়দানে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার রেফারিকে আক্রমণ, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। তফশিলিদের উপর অত্যাচারের ধারায় মামলা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে সুবিচারের জন্য পাশে থাকবে বিজেপি।''

প্রত্যেক বছরই মেদিনীপুরের চার্চের মাঠে দিবারাত্র ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়। গতকালও তেমনই ম্য়াচ হচ্ছিল। মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্য়ান সৌমেন খাঁ-র ভাইপো রাজা খাঁ-র দল ম্য়াচে খেলছিল। সেই সময় রেফারি রাজা খাঁ-র দলের বিপক্ষে একটি সিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তৃণমূল নেতা। এরপর রেফারিকে সজোরে লাথি মারা হয়। এরপরই রাজা খাঁ-কে এদিন গ্রেফতার করা হয়। আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূল নেতা স্বীকার করে নেন যে তাঁর ভুল হয়ে গিয়েছে।

হুগলির কোন্নগরে শাসক নেতা খুনে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরও ১

কোন্নগরে শাসক নেতার খুনে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরও ১ জনকে। গ্রেফতার হুগলির কুখ্যাত গ্যাংস্টার ভোলানাথ দাস ওরফে বাঘা। এই ঘটনায় আগেই পাকড়াও হয়েছিল বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশাল। এই বিশা এবং বাঘা দু'জনই খুনের ঘটনার মাস্টার মাইন্ড, খবর পুলিশ সূত্রে। পিন্টু চক্রবর্তীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪। ধৃত বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশার সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল নিহতের, খবর পুলিশ সূত্রে। গত ৩০ জুলাই, হুগলির কোন্নগরের তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তীকে কুপিয়ে খুন করা হয়। নিজের গ্যাসের অফিসের সামনেই আক্রান্ত হন তৃণমূল নেতা। কুপিয়ে খুন করা হয় কোন্নগর কানাইপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্নাকে

হুগলির কুখ্যাত গ্যাংস্টার গ্রেফতার হওয়া ভোলানাথ দাস ওরফে বাঘা। অপরাধের ভুরিভুরি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, আগে পাকড়াও হওয়া বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশা হচ্ছে এই ভোলানাথ দাস ওরফে বাঘার ভাই। দুই ভাই মিলেই পিন্টু চক্রবর্তীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল বলে খবর পুলিশ সূত্রে।