মেদিনীপুর:  যশবন্ত সিন্হা নন, দ্রৌপদী মুর্মুকেই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি (President) হিসেবে দেখছেন তৃণমূলেরই নেতা (TMC Leader)। ''দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন দ্রৌপদী মুর্মু'', এমনই মন্তব্য স্বয়ং তৃণমূল নেতার। আর এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 


ঠিক কী হয়েছিল?


মেদিনীপুরের হুল উৎসব অনেক পুরনো একটি ঐতিহ্যশালী উৎসব। সেই উৎসবেই যোগ দিতে এসেছিলেন মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান। সেখানে এসেই এমন বিতর্কিত মন্তব্য করে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ালেন তিনি। তিনি বলে বসেন, ''রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন দ্রৌপদী মুর্মু।'' এদিকে এই ঘটনার পর বিজেপির প্রতিক্রিয়াও পাওয়া গিয়েছে। জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ''উনি সত্যি কথাটাই বলেছেন। অন্যেরা স্বীকার করতে ভয় পায়। কিন্তু উনি স্বীকার করে নিয়েছেন সত্যিটা।'' যদিও জেলা তৃণমূল এই বিষয়ে সৌমেন খানের পাশে নেই। তাঁদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সৌমেন খানের যাবতীয় বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে দলের মতের কোনও মিল নেই। তবে এই ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপি তরজা ফের শুরু হয়েছে।


উল্লেখ্য, ১৮ জুলাই, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। NDA’র দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে লড়াই বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিন্হার। তার আগে, শুক্রবার ইসকনের রথযাত্রার সূচনা করতে গিয়ে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম বিজেপি আগে জানালে ভেবে দেখতাম'।


দ্রৌপদী প্রসঙ্গে মমতা


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেছেন, আগে থেকে যদি বিজেপি জানাত, যে একজন আদিবাসী মহিলাকে প্রার্থী করছে, তাহলে আমরাও চেষ্টা করতাম, এটা বৃহত্তর স্বার্থের কারণে, আমরা যে বিরোধীরা ১৬-১৭টা দল আছে, আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম, যে একটা ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী হলে দেশের পক্ষে ভাল হতো, একসময় এপিজে আব্দুল কালামও হয়েছেন, কিন্তু বিজেপি যখন আমাদের ফোন করেছিল, তখন শুধু আমাদের সাজেশন জানতে চেয়েছিল, কিন্তু ওদের সাজেশন আমাদের জানায়নি। তাই আমি মনে করি যে, বড় স্বার্থে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী আমি সব সময় পছন্দ করি, যেহেতু ১৭-১৮টা রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সবাই না বললে, আমি একা ফিরে আসা সম্ভব নয়।