অলোক সাঁতরা, মেদিনীপুর: ডাকাতির ছক বানচাল করে দিল পুলিশ। ডাকাতির আগেই পাকড়াও ডাকাত দল। এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে।  অস্ত্র সহ ১২ জনের একটি ডাকাত দলকে গ্রেফতার করল মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ধৃতদের  কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলি সহ একটি দেশি বন্দুক, ভোজলি,ছুরি, রড সহ বিভিন্ন ধরণের হাতিয়ার।


জানা গেছে, শুক্রবার ভোর রাতে এই ডাকাত দলটি মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন হোসনাবাদ এলাকায় জড় হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল  ডাকাতি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায়  পুলিশ।   চারদিক থেকে ঘিরে পুলিশ ডাকাত দলটিকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।


পুলিশের অনুমান, ওই এলাকার পেট্রোল পাম্পগুলিতেই ডাকাতির ছক কোষেছিল ওই ডাকাত দলটি। ওই ডাকাত দলের সদস্যদের প্রত্যেকেই মেদিনীপুর শহরেরই বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এমনটাই  পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।  এদিন ধৃত এই ১২ জনকেই তোলা হয় মেদিনীপুর আদালতে। আদালত প্রত্যেকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।


উল্লেখ্য,  কয়েকদিন আগেই শাটার ভেঙে সমবায় ব্যাঙ্কে ঢুকে ভল্ট ভাঙার আগেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ছিল চার ডাকাত।তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনকে ধরে পুলিশ।সাহানুই সমবায় ব্যাঙ্কের রসুলপুর ব্রাঞ্চে এই ঘটনা ঘটেছিল।গত মঙ্গলবার গভীর রাতে মেমারির রসুলপুরে সাহানুই এসকেইউএস সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দেয় দুষ্কৃতী দলটি। সাটার ভেঙে ভিতরে ঢোকে তারা। ব্যাঙ্কের আধিকারিক মোবাইলে সিসি ক্যামেরার ফিড থেকে বিষয়টি জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা মেমারি থানায় বিষয়টি জানান।ব্যাঙ্কের ভল্ট ভাঙার আগেই মেমারি থানার ওসি দেবাশীষ নাগের নেতৃত্বে ব্যাঙ্ক ঘিরে ফেলে পুলিশ। ব্যাঙ্কের নীচে থাকা কয়েকজন দুষ্কৃতী পুলিশ দেখে চম্পট দেয়। মেমারি থানার ওসি দেবাশিস নাগের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী গিয়ে দেখে সমবায় ব্যাঙ্কের সাটার অর্ধেক নামানো রয়েছে। ভিতরে কয়েকজন রয়েছে। তারা ভল্ট ভেঙে টাকা বের করার চেষ্টা করছে। পুলিশ প্রথমে দুষ্কৃতীদের আত্মসমর্পণ করার জন্য বলে। কিন্ত পুলিশের কথায় কোনও কর্নপাত না করায় পুলিশ ভিতরে ঢুকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে।পরে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।বর্ধমান দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আমিনুল ইসলাম খান জানিয়েছিলেন যে, গভীর রাতে সমবায় ব্যাঙ্কে ডাকাতির জন্য হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতী দলটি। পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের পাকড়াও করেছে।


ব্যাঙ্কের আধিকারিক পার্থ দে জানান, কিছুদিন আগে এই এলাকায় গ্রামীণ ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। তার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। তার উপকার পেলেন তাঁরা। ডাকাতি রোধ করা গিয়েছে। ব্যাঙ্কের কিছু খোওয়া যায়নি।