অতসী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা :  দেবের পথেই মিমি? ভাঙড়ের দুটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে এবার ইস্তফা দিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর, দেবকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিস্তর জল্পনায় আপাতত দাঁড়ি পড়েছে। শেষমেশ ফের লোকসভা ভোটের লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ। আর এই প্রেক্ষাপটেই নতুন করে জল্পনা উস্কে দিলেন, তৃণমূলের আরেক সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। 


ভাঙড়ের নলমুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন ছিলেন মিমি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে জিতে প্রথমবার সাংসদ হয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে ভাঙড়ের দুটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন পদ থেকে তাঁর ইস্তফা ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। মিমির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।  


২০১৪ সালেই ঘাটালে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। ২০১৪-র পর ২০১৯-এও ঘাটাল থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছেন দেব। ঠিক যেভাবে ২০১৯-এ যাদবপুর আসন থেকে, তৃণমূলের টিকিটে জেতেন টলিউডের আরেক মুখ মিমি চক্রবর্তী। সম্প্রতি আচমকা ৩টি সরকারি কমিটি থেকে পদত্য়াগ করেন দেব। তারপর তাঁর লোকসভার ভাষণের পর জল্পনা তীব্র হয়। তিনি কি রাজনীতি থেকে সরে যাবেন, প্রশ্ন ওঠে নানা মহলে। পরে অবশ্য দিল্লি থেকে ফিরে দেব যান দলনেত্রীর সাক্ষাতে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও একান্তে কথা বলেন তিনি। আর তারপরই মনে করা হচ্ছে বরফ গলে। দেব বলেন 'আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম দিদির হাত ধরে, আমি রাজনীতিতে থেকে গেলাম দিদির হাত ধরে।' 


কিন্তু দেবকে নিয়ে এই টানটান চিত্রনাট্যের মধ্যেই, একটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আরেক তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। মিমি কী ভেবে দিলেন ইস্তফা ? তা অবশ্য এখনও পরিষ্কার নয়।                    


অন্যদিকে আবার সোমবারই সন্দেশখালিকাণ্ডে মুখ খুলেছেন নুসরত জাহান। দিয়েছেন বিশেষ বার্তা। বলেছেন, 'এই সঙ্কটময় সময়ে, আসুন আমরা অন্যকে  উস্কানি দেওয়া থেকে বিরত থাকি এবং পরিবর্তে প্রশাসনকে সমর্থন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। রাজ্য সরকার অক্লান্তভাবে স্থানীয়দের সাহায্য করছে এবং একজন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি হিসেবে আমি প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি। পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি করা এড়িয়ে চলুন, এটাই এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ।  আমার ভূমিকা হল আগুন নিভিয়ে ফেলা, আগুনে ঘি ঢালা নয় । আসুন প্রশাসনকে সহযোগিতা করি এবং তাদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিই।' 


আরও পড়ুন :


হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার আগেই সৌরভের মাকে দেখে এলেন মিঠুন