অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইকের (Prakash Chik Baraik House Attacked) ফ্ল্যাটে (TMC Rajya Sabha MP House Attacked) দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তীব্র হইচই আলিপুরদুয়ারে। গত কাল, অর্থাৎ বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ছ'জন দুষ্কৃতী বোলেরো গাড়ি ও একটি বাইক নিয়ে এসে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেই সময়, তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভা সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক, কালচিনি ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বদের সঙ্গে বিজয়া সম্মিলনী নিয়ে ফ্ল্যাটে বৈঠক বৈঠক করছিলেন বলে দাবি।


কী জানা গেল? 
অভিযোগ, গত কাল অর্থাৎ বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ছ'জনের দলের তিন জন মদ্যপ অবস্থায় অ্যাপার্টমেন্টের চতুর্থ তলে প্রকাশের ফ্ল্যাটের দরজায় ধাক্কায় মারতে থাকে। গালিগালাজ করে। সেই সময় প্রকাশ চিক বরাইকের দেহরক্ষী স্বপন বর্মন দরজা খুললে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপর বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর প্রকাশরা তিনজনকে ধরে ফেলেন। পুলিশে খবর দিলে অভিযুক্তদের তুলে নিয়ে যায়। প্রকাশের দাবি, বিরপারার বাসিন্দা অজ্ঞাপরিচয় দুষ্কৃতীরা কেন সেখানে এসেছিল, তা জানা নেই। তবে তাঁর ধারণা, এটি বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। এর আগে,  গত মে মাসে খোদ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় হামলার মুখে পড়েছিল। সে বার গড় শালবনিতে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কনভয়ের যাত্রাপথে আছড়ে পড়েছিল কুড়মি বিক্ষোভ। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতেও একরকম ইটবৃষ্টির ছবি ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। গোটা ঘটনায় প্রথমে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে শুধু যে শাসকদলের সাংসদরা আক্রমণের মুখে পড়েছেন, তা নয়। 


আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ...
এর আগে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে, কল্যাণী থেকে বাড়ি ফেরার সময় বিজেপি সাংসদের উপর ‘হামলা’-র ঘটনা নিয়েও তুমুল শোরগোল হয়েছিল। সে বার হরিণঘাটার বিজেপি সাংসদ, জগন্নাথ সরকারের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। বিজেপি সাংসদের গাড়ির ঠিক পিছনেই বোমা পড়েছিল বলে দাবি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনেন বিজেপি সাংসদ। তার আগে, ২০২১ সালের এপ্রিলে কোচবিহারের শীতলকুচিতে দিলীপ ঘোষের গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। সে বার সভা করে ফেরার পথে তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সভাপতির কনভয়ে হামলা চলেছিল বলে দাবি। হামলার পরে ব্যাপক বোমাবাজিও হয়েছিল বলে শোনা যায়। সবের জন্যই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে বিজেপির। দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'প্রায় ১০০-র বেশি লোক ঘিরে ধরেন।' একই সঙ্গে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তোলেন তিনি। যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য ছিল, আদি বিজেপি এবং নব্য বিজেপির সংঘাতের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।


আরও পড়ুন:রায়গঞ্জে রাস্তায় পড়ে ডিজিটাল রেশন কার্ড, তদন্তে পুলিশ