রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাত ধরে অবশেষে প্রচারে নামল প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মিতালী রায় (Mitali Roy)। ধুপগুড়ি উপনির্বাচনে প্রচারে এসে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে গোপন বৈঠক মিতালী রায়ের। গোসা করে থাকা তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়কে নিয়েই প্রচারে নামলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas)।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ধূপগুড়ি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মিতালী রায় জয়ী হয়েছিলেন তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯০,৭৮১। পরবর্তীতে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। ১,০৩,৫৩৩ ভোট পেয়ে জয়ী বিজেপির প্রার্থী বিষ্ণুপদ বায়। মিতালী রায় ২০২১ সালে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে আড়াই বছর দল তার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেনি বলে দাবি করেন মিতালী রায়। এমন কি কোনও মিটিং মিছিলেও তাঁকে ডাকা হয়নি বলে দাবি তাঁর।যেখানে ধুপগুড়ি উপনির্বাচনে মাটি আঁকড়ে বসে আছেন শাসকদলের রাজ্য নের্তৃত্ব থেকে বিরোধীদলের হেবিওয়েট নেতারা, সেখানে তৃণমূলের প্রচারে এবারেও দেখা যায়নি মিতালী রায়কে। তবে অবশেষে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের আশ্বাসের পর ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে নামতে দেখা গেল মিতালী রায়কে।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের বছর, নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুতে টেট, আপার প্রাইমারি বা বন সহায়ক-রাজ্য সরকারের একের পর এক চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল সক্রিয়ভাবে। যা নিয়ে ভোটের আগে চাপের মুখে পড়েছিল শাসকদল। এই ইস্যুকে হাতিয়ার বানিয়ে সরব ছিল বিরোধীরা। এই প্রেক্ষাপটে সেবার জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ির তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে উঠেছিল চাকরির নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। যার প্রতিবাদে পৃথকভাবে মিছিল করেছিল বিজেপি ও সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই।
আরও পড়ুন, 'বিরোধী নেতাদের গ্রেফতারির সংখ্যা বাড়বে...', কেন বললেন মল্লিকার্জুন খাড়গে ?
অভিযোগ, ২০১৮ সালে প্রাইমারি স্কুল ও জলসম্পদ বিভাগে চাকরি দেওয়ার নামে ১৩ জনের কাছ থেকে প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ধুপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায়। কিন্তু ৩ বছর হতে চললেও এখনও কেউ চাকরি পাননি। অভিযোগকারীর কথায়, ‘চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার থেকে ৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন ধুপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায়। কিন্ত দেব, কাল দেব করে চার মাস থেকে ঘুরিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে দিয়েছিলাম। আমাদের কলকাতাতেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ইন্টারভিউও হয়েছিল। কিন্ত পরে জানতে পারলাম, ভুয়ো ইন্টারভিউ হয়েছিল। ১৩ জনের থেকে মোট ৮৩ লক্ষ টাকা নেন বিধায়ক ।’